চুলেই নারীর সৌন্দর্য? চিরাচরিত এই মিথকে আরও একবার মিথ্যে প্রমাণ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দ্বিতীয় কেমোর ঠিক আগে চুলকে সাময়িক ভাবে জীবন থেকে বাদ দিয়ে সৃষ্টি করলেন সৌন্দর্যের নয়া সংজ্ঞা। প্রতিবারের মতো এ বারেও পাশে থাকলেন সব্যসাচী। সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ল ভালবাসার ঢল। পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন অনুরাগীরা।
ঐন্দ্রিলা শর্মা, যার পরিচয় এখন শুধু অভিনেত্রীর সীমাবদ্ধতায় আটকে নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে যিনি এখন নতুন করে বাঁচতে জানার সংজ্ঞা, দ্বিতীয়বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও মারণরোগের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার সাহসের সমার্থক। শুক্রবার থেকে শুরু হল ঐন্দ্রিলার দ্বিতীয় কেমো। ফোন করতেই অভিনেত্রীর উত্তর, “এই তো কেমো নিতে যাচ্ছি। শরীর ঠিকই লাগছে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।” গলায় ভয়-ডরের লেশ নেই। তিনি যে ‘অপরাজিত’।
কেমোয় চুল পড়ে। সে তথ্য ঐন্দ্রিলার কাছে নতুন নয়। দিল্লি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে যখন কলকাতা ফিরলেন মার্চের শুরুতে, বড় চুল অর্ধেক কেটে ফেলেছিলেন তিনি। শুটিং ফ্লোরেও যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে সেই প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলা বলেছিলেন, “দ্বিতীয় কেমোর পর চুল পড়বে জানি। তখন শুট করব না।” অবশেষে শুরু দ্বিতীয় কেমোও। চুল পুরোপুরি পড়ার আগে নিজের থেকেই তা কেটে ফেলেছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, “চুলেই নারীর সৌন্দর্য , আর নয়”। বন্ধু সব্যসাচীও পাঁচ মাস আগে এবং পরের একসঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন দু’জনের। সব্যসাচীর ক্যাপশনে চোখ আটক যায়। তিনি লিখছেন, “পাঁচ মাসে কী পরিবর্তন হয়?” উত্তরও নিজেই দিয়েছেন সব্যসাচী। লিখেছেন, “আর ব্যাড হেয়ার ডে’র ঝামেলা নেই।” দুই ছবিতে ঐন্দ্রিলার কাঁধে তাঁর ভরসার হাত। হলুদ কুর্তিতে সদ্য তোলা ছবিটি যেন আগের থেকেও বেশি উজ্জ্বল। ওই ছবিতেই যে লুকিয়ে রয়েছে দু’জনের ভাল থাকার সুতীব্র বাসনা।