ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন, একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালিন খুব একটা চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নেননি। কারণ দীর্ঘ সময় তাঁদের সম্পর্কের খবর সামনে উঠে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু কোথায় গিয়ে তাঁদের প্রেমের খবর ফাঁস হতেই তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠতে দেখা যায়। প্রথমত বয়সের ফারাক, দ্বিতীয়ত একশ্রেণি অভিষেক ও ঐশ্বর্যের সম্পর্ক একপ্রকার মেনে নিতে পারছিলেন না, এই কারণেই শুরু হয় নানা জল্পনা। কিন্তু কোথাও গিয়ে এই জুটি প্রমাণ করেছেন, তাঁরা একে অন্য়ের সঙ্গে দিব্য়ি সংসারটা করে যেতে পারবেন। করে চলেছেনও। কিন্তু একটা সময়ের পর ঘটে ছন্দপতন। একের পর এক বিচ্ছেদের জল্পনায় জেরবার হতে দেখা যায় জুটিকে। যদিও নিজেদের ব্যক্তি সম্পর্ক নিয়ে কোনওদিন মুখ খুলতে পছন্দ করেন না তাঁরা। নানা সাক্ষাৎকারে যেটুকু বিষয় নিয়ে কথা না বললেই নয়, সেটুকুই উত্তর দিতে দেখা গিয়েছে অতীতে।
একবার খোদ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ জল্পনা প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি যতক্ষণ আঙুলে আংটি পরে রয়েছেন, ততদিন এই সম্পর্ক অটুট। তবে সম্প্রতিতে তাঁর আঙুলের সেই আংটিও আর দেখা যায় না। যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় নানা জল্পনা। তবে একবার ছবির প্রচারে এসে কপিল শর্মা শোয়ে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও খুব সাধারণ জুটির মতোই অশান্তি হয়। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই তা স্বাভাবিক।
এরপরই কপিল প্রশ্ন করে বসেছিলেন, অশান্তি মেটাতে প্রথম ক্ষমা কে চেয়ে থাকেন? উত্তরে কপিল শর্মা নিজেই বলতে গিয়েছিলেন অভিষেকের নাম। তাঁকে থামিয়ে ঐশ্বর্যকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”আমি প্রথম ‘সরি’টা বলি। সমস্যা মিটিয়ে নিই। আমার এক জিনিস নিয়ে বেশিক্ষণ কথা বলতে ইচ্ছে করে না। তাই আমি আগ বাড়িয়ে আগেভাগে ক্ষমাটা চেয়ে নিয়ে থাকি।” শুনে অবাক হয়েছিলেন কপিল। বলেছিলেন, ‘কে এমন আছে যে সুন্দরী বউও পায়, আবার সে ক্ষমাও চায়…।’