‘এমনই দিনে তারে বলা যায়’,২২ বছর আগে ঠিক আজকের দিনেই দু’জনে একে-অপরকে কথাটা বলেছিলেন। শুধু বলেননি, একসঙ্গে জীবন কাটাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আজ অজয় দেবগণ এবং কাজলের ২২ তম বিবাহ বার্ষিকী।
দেখতে দেখতে ২২ টা বসন্ত পেরিয়ে গিয়েছে। অজয়-কাজলের আজ ভরা সংসার। একেবারে ‘মেড ফর ইচ আদার’। বিয়ের দিন মিডিয়ার ভিড় এড়াতে দু’জনেই দারুণ একটা মজা করেছিলেন। দু’জনেই ফন্দি এঁটে সমস্ত মিডিয়াকে এক অন্য ‘ভেন্যু’-র কথা বলেছিলেন। একে একে সমস্ত মিডিয়া যখন সেই ‘ভেন্যু’তে জড়ো হতে শুরু করেন তখন পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে একেবারেই নিরিবিলিতে অজয় দেবগণের বাড়ির ছাদে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দু’জন। মিডিয়াকে বোকা বানিয়ে ‘খবর’ তৈরি করলেও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও ‘খবর’ চাননি বলিউডের এই ‘হেভি ওয়েট’ দম্পতি। ২২ বছরের পথচলা তাই বোধহয় তাঁদের আজও ফুরিয়ে যায়নি।
২২ বছরের এই মধুর সম্পর্ক নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা নস্ট্যালজিক কাজল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তিনি নাকি আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন অজয়ই ওঁর ‘আকাঙ্ক্ষিত পুরুষ’। কীভাবে বুঝেছিলেন নায়িকা? সেই কথা নিজেই বলেছেন কাজল “ আমাদের দু’জনের একসঙ্গে একটা শট ছিল। আমি অজয়কে থাপ্পর মারতে যাব, আর অজয় কায়দা করে আমার হাতটা এমন ভাবে ধরবে যাতে আমি ওকে থাপ্পরটা মারতে পারব না। এরপর শট চলাকালীন অজয় এমনভাবে আমার হাতটা ধরে রেখেছিল, আমার হঠাৎ মনে হল এই ছেলে আমার জীবনে একটা ভরসার জায়গা তৈরি করবে।”
আরও পড়ুন :আলিয়ার মা সোনি রাজদানকে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করতেন পূজা ভাট!
ঠিকই ভেবেছিলেন কাজল। ২২ টা বছর ধরে ভরসা জুগিয়ে চলেছেন অজয়। এমনকী কাজল সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তখন কোনও ঝামেলা হলে তিনি অজয় দেবগণকেই সব কথা বলতেন। আর অজয় কী করতেন? কাজল বলেছেন “ অজয় গুরুজীদের মত গম্ভীরভাবে সব কথা শুনে আমায় উপদেশ দিত আমার কী করা উচিৎ। আর আমিও ওর কথা মন দিয়ে শুনতাম।”
২২ বছরের বিবাহ বার্ষিকীতে অজয়-কাজলকে টিভি নাইন বাংলার পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা।