নৃশংস ঘটনা। ‘লজ্জা। লজ্জা’। গত কয়েকদিনে পাল্টে গিয়েছে শহর কলকাতার চেনা ছবি। খাস কলকাতার বুকে ঘটে যেতে পারে এমন ঘটনা, তা ভেবেই যেন শিউরে উঠছেন সকলে। হাসপাতালে ডাক্তারী পড়ুয়াই নিরাপদ নয়? তিলোত্তমার এ কোন ভয়ানক পরিণতি? ‘কোথায় সিসিটিভি?’ ‘কীভাবে কেউ আঁচ পেলেন না!’ ‘কেন তাঁকে নিয়ে এত রিপোর্টে এত মিথ্যাচার?’ ‘আত্মহত্যা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাই বা কেন?’ গত কয়েকদিনে এই প্রশ্ন করতে করতে ক্লান্ত গোটা শহর, গোটা দেশ। ‘দোষীর শাস্তি হবে তো!’ সোশ্যাল মিডিয়া বিপ্লব থেকে মোমবাতি মিছিল, ডাক্তারী পড়ুয়াদের কর্ম বিরতি থেকে প্রতিবাদ, আর্তনাদ, ‘বিচার চাই-বিচার চাই’। সেই চিৎকারে গলা ফাটাচ্ছেন সকলেই। তাই চুপ থাকলেন না অভিনেতাও। তালিকা থেকে বাদ পড়ল না বলিউডও।
প্রতিবাদে সরব হলেন আলিয়া ভাট। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘আরেকটি নৃশংস ধর্ষণ। নারীরা যে কোথাও নিরাপদ নয় তা উপলব্ধি করার আরেকটি দিন। আরেকটি ভয়ঙ্কর নৃশংসতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে নির্ভয়া ট্র্যাজেডির এক দশকেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’ এখানেই শেষ নয়, বরং তিনি আরও বললেন, ‘দয়া করে মহিলাদের বলবেন না পথ পাল্টাতে, পৃথিবীটা পাল্টান।’
প্রসঙ্গত, কলঙ্কিত আরজি কর হাসপাতাল। সেমিনার রুমে ঘুমতে যাওয়াই কী তিলোত্তমার হল কাল? তারপর…, সারা রাতের নারকীয় ঘটনা অন্ধকারেই হারিয়ে যাবে না তো! তাই বিচার চাইছে সকলে। ‘তিলোত্তমা’র পরিবারের পাশে গোটা শহর, গোটা দেশ। নারীরা কি দেশের কোথাও সুরক্ষিত নয়? এই ঘটনা ভাবিয়ে তুলল রাহার মাকে।