AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কান-এ শুরুর দিনে থাকা বাতিল, অপারেশন সিঁদুর-এর কারণে বড় সিদ্ধান্ত আলিয়ার

আলিয়া লিখেছেন, ''শেষ কয়েকটা রাত, ভীষণ অন্যরকম অনুভূতি। শেষ কয়েকদিন অদ্ভুত অ্যাংজাইটির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। প্রতিটা ডিনার টেবিলে, প্রতিটা কনভারসেশনের সময়ে টেনশন অনুভূত হয়েছে। আমরা সকলে অনুভব করেছি কোথাও কোনও পাহাড়ে দেশের সেনাবাহিনী রাত জাগছে, সতর্ক আছে, বিপদে আছে। আমরা যখন ঘরে আছি, তখন কিছু নারী আর পুরুষ রাত জাগছে আমাদের ঘুম নিশ্চিত করতে। এই বাস্তব কোথাও প্রভাবিত করে। অনুভব করতে বাধ্য হচ্ছি, এটা শুধু সাহসের বিষয় নয়, আত্মত্যাগের বিষয়।''

কান-এ শুরুর দিনে থাকা বাতিল, অপারেশন সিঁদুর-এর কারণে বড় সিদ্ধান্ত আলিয়ার
| Edited By: | Updated on: May 13, 2025 | 9:45 PM
Share

এবার কান চলচ্চিত্র উত্‍সবে ওপেনিং সেরেমনিতে ডেবিউ করার কথা ছিল আলিয়া ভাটের। তবে শেষ মুহূর্তে বাতিল করলেন কান-এ শুরুর দিনে থাকার বিষয়টা। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে যে টেনশন তৈরি হয়েছে, সেই কারণে এমন বড় সিদ্ধান্ত নিলেন নায়িকা। ১৩ তারিখ সকালে আলিয়া ভাট আবেগপ্রবণ হলেন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে। দেশের বাইরে কিছু অনুরাগী হারাতে পারেন এমন পোস্টের জন্য়, সেটা এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন বলিউডের তারকারা। তবে মনের কথা জনসমক্ষে আনতে পিছপা হলেন না বলিউডের প্রথমসারির নায়িকা। আলিয়া লিখেছেন, ”শেষ কয়েকটা রাত, ভীষণ অন্যরকম অনুভূতি। শেষ কয়েকদিন অদ্ভুত অ্যাংজাইটির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। প্রতিটা ডিনার টেবিলে, প্রতিটা কনভারসেশনের সময়ে টেনশন অনুভূত হয়েছে। আমরা সকলে অনুভব করেছি কোথাও কোনও পাহাড়ে দেশের সেনাবাহিনী রাত জাগছে, সতর্ক আছে, বিপদে আছে। আমরা যখন ঘরে আছি, তখন কিছু নারী আর পুরুষ রাত জাগছে আমাদের ঘুম নিশ্চিত করতে। এই বাস্তব কোথাও প্রভাবিত করে। অনুভব করতে বাধ্য হচ্ছি, এটা শুধু সাহসের বিষয় নয়, আত্মত্যাগের বিষয়। প্রতিটা ইউনিফর্মের সঙ্গে একজন মায়ের নাম জড়িয়ে আছে, যিনি রাতে ঘুমোতে পারেননি। একজন মা যিনি জানেন, তাঁর সন্তানের রাতটা মিষ্টি গানে ভরা নয়, বরং অনিশ্চয়তায় ভরা। আমরা মাদার্স ডে সেলিব্রেট করলাম। যখন ফুল দেওয়া-নেওয়া হচ্ছিল, আমার ভাবনায় সেসব মায়ের কথা আসছিল, যাঁরা দেশের এই হিরোদের বড় করেছেন, শিরদাঁড়া সোজা রাখার পাঠ দিয়ে। এমন অনেক সন্তান আছেন, যাঁরা বাড়ি ফিরলেন না, যাঁদের নাম দেশের আত্মায় লেখা হলো। তাই আজ রাত থেকে আমরা আর টেনশনের নীরবতা চাই না, শান্তির নীরবতা চাই। সেসব অভিভাবকদের ভালোবাসা পাঠান, যাঁরা তাঁদের কান্না চেপে আছেন। কারণ আপনার শক্তিই দেশকে এগিয়ে দেয়, যতটা আপনি অনুভব করতে পারেন, তারচেয়েও বেশি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, আমাদের যাঁরা রক্ষা করছেন তাঁদের জন্য। দেশের জন্য। জয় হিন্দ।”