অঞ্জনা ভৌমিক, টলিপাড়ার ছয়ের দশকের অন্যতম চর্তিত স্টার। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে অভিনয়ে পা রেখেছিলেন তিনি। প্রথম ছবিতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর চরিত্রের উপস্থাপনা থেকে শুরু করে অভিনয়ের ধরন, সবটাই দর্শকদের মন ছুঁয়েছিল। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি অঞ্জনাকে। তিনি প্রথম থেকেই নিজের অভিনয়ের বিষয় ভীষণ সচেতন। তাঁর প্রথম ছবি মাত্র ২০ বছর বয়সে। পীযূষ বোস পরিচালিক অনুষ্টুপ ছবিতে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ। সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি নিজের নাম পাল্টে আরতী থেকে রাখেন অঞ্জনা। সেই নামেই তিনি জনপ্রিয় হয়েছিল। বহু সেলেবদের দেখা গিয়েছে বিনোদন জগতে পা রাখার পর কিংবা আগে নিজের নাম পাল্টে ফেলেছেন।
তবে সিনেপাড়ায় তাঁর দাপট শুরু হয়েছিল, উত্তম কুমারের সঙ্গে ছবি করার পর থেকে। একের পর এক ছবি তাঁর হিট। তালিকায় রয়েছে চৌরঙ্গী, কখনও মেঘ, নায়িকা সংবাদ, রাজদ্রৌহী প্রভৃতি। তবে প্রশংসার পাশাপাশি সেই সময় তাঁকে রীতিমত সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছিল। শুনতে হয়েছিল, তিনি নাকি উত্তম কুমার ছাড়া অভিনয় করবেন না, কেউ কেউ আবার তাঁর ছবি হিট হওয়ার পিছনে ছবিতে উত্তম কুমারের উপস্থিতিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
অঞ্জনা ভৌমিক তখনও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, অভিনয়ে তিনি একাই ছবির চরিত্রের ক্ষেত্রে যথেষ্ট। তিনি যে উত্তম কুমার ছাড়া আর কারও সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে পারবেন না, সেই ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহাশ্বেতা ও বসন্ত চৌধুরীর সঙ্গে দিবা রাত্রীর কাব্য-এর মতো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর তিনি অভিনয় জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রয়াণ ঘটে অভিনেত্রীর। খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই শোকের ছায়া নেমে আসে সিনেপাড়ায়।