অঙ্কুশ এখন খোশ মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন। ‘গার্লফ্রেন্ড’ ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে তিনি সোজা উড়ে গিয়েছেন মলদ্বীপে। অঙ্কুশ যে হোটেলটিতে উঠেছেন তার গা-ঘেঁষে নীল সমুদ্র। যে ঘরে টলিউডের এই যুগল রয়েছেন, দরজা ঘুরলেই সমুদ্র এসে পা ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত ছবি অভিনেতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ আর ধরছে না অঙকুশের। ছুটি কাটাবার এর থেকে ভাল জায়গা আর কী-বা হতে পারে!
কিন্তু হায়! খুশির তাল কেটেছে। মলদ্বীপে আর মজা খুঁজে পাচ্ছেন না অঙ্কুশ। এক নিমেষে নীল-জল-সমুদ্র ম্যাজিক হাওয়া। উল্টে অঙ্কুশের ‘চক্ষু ছানাবড়া’ হওয়ার জোগাড়! কী এমন ঘটল? অঙ্কুশের মুখ থেকে হাসি উধাও হয়ে গেল কেন?
এক গ্লাস লেবুর সরবত! সমস্ত খুশির পালে জল ঢেলে দিল। মাথায় প্রায় বাজ ভেঙে পড়েছে ‘ম্যাজিক’-এর এই ম্যাজিশিয়ানের। আর যে কোনও ম্যাজিকই কাজ করছে না! করবেই বা কী করে! এক গ্লাস লেবুর সরবতের দাম দেখেই অঙ্কুশের ‘চক্ষু ছানাবড়া’। কত দাম জানেন? এক গ্লাস লেবুর সরবতের দাম ১০০০টাকা! আর তা দেখেই ভিরমি খাওয়ার জোগাড় অভিনেতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ‘মহার্ঘ’ লেবুর সরবতের ছবি দিয়ে ‘চক্ষু ছানাবড়া’ করে অঙ্কুশ লিখেছেন, “যখন বিল এল,দেখলাম এক গ্লাস লেবুর সরবতের দাম নিয়েছে ভারতীয় মূল্যে ১০০০টাকা! আমি তো সরবতের মধ্যে খুব করে হিরে খোঁজার চেষ্টা করলাম। কেন জানি না মা-কে খুব মিস করতে শুরু করলাম।” এরপর মজা করে অভিনেতা কাতর কন্ঠে মা-কে ডেকে লিখেছেন, “ও মা গোওওওও”।
আরও পড়ুন :‘গুমনামী’ জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আবেগপ্রবণ সৃজিত
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে অঙ্কুশের ‘ম্যাজিক’। পরিচালক রাজা চন্দের এই ছবিতে একজন ম্যাজিশিয়ানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এই ছবিতে ‘গার্লফ্রেন্ড’ ঐন্দ্রিলার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। এটাই ছিল ঐন্দ্রিলার প্রথম ছবি। বক্স অফিসে ভালই সাড়া মিলেছে ‘ম্যাজিক’-এর। এরপর পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনি। ছবির নাম ‘কাবাডি কাবাডি’। অঙ্কুশের বিপরীতে অভিনয় করছেন সোহিনী সরকার।