লক্ষ্মীপুজোয় বড় সিদ্ধান্ত অপরাজিতার, একবুক কষ্ট নিয়ে লিখলেন খোলাচিঠি
Aparajita Adhya: না, পুজো তিনি থামাচ্ছেন না। মা লক্ষ্মীর আসায় যেন বিচ্যুতি না থাকে সে ব্যবস্থাও প্রতিবারের মতো এবারেও নিজের হাতে করবেন তিনি। তবে অকারণ উদযাপন নেই-- এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। দু'মাস আগে ঘটে যাওয়া নারকীয় কাণ্ড ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী। ভুলতে চানও না। বিশেষ দিনে তাই তাঁর একটাই প্রার্থনা, 'বিচার দিও মা'।
মনটা ভাল নেই তাঁর। টিভিনাইন বাংলাকে আগেই জানিয়েছিলেন এবারে পুজোর আচারে অংশ নিলেও উৎসবে মাতোয়ারা হবেন না তিনি। সেই মতোই স্থানীয় ক্লাবে পুজোর কটা দিন তাঁকে দেখা গিয়েছে ঠিকই। তবে প্রতিবারের মতো একগাল হাসিমুখে সিঁদুরখেলা, ধুনুচি নাচ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন। তিনি অর্থাৎ অপরাজিতা আঢ্য। আর দিন দুয়েক পরেই লক্ষ্মীপুজো। সেই বিয়ে হয়ে আসা ইস্তক নিজের শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি মায়ের সহযোগিতায় ধুমধাম করে লক্ষ্মীপুজো পালন করে এসেছেন অপরাজিতা। পাত পেড়ে খাওয়ানো থেকে শুরু , করে হইহই– কোনও কিছুই বাদ থাকে না। আমন্ত্রিত থাকেন জনসাধারণও। নিজের হাতে ভোগ রাঁধেন, মাকে দেন, বড় টিপ, লাল পেড়ে শাড়ি পরে সিগনেচার স্টাইলে আমন্ত্রণের ত্রুটি রাখেন না। তবে এবার আর উৎসব নয়। এক খোলাচিঠির মধ্যে দিয়ে অপরাজিতা জানিয়ে দিলেন উৎসবে নেই তিনি। বাড়িতে মা লক্ষ্মী আসবেন ঠিকই, পুজোও হবে, তবে তা খুবই সাদামাঠা ভাবে। এই বছরটা তাই আর পাতপেড়ে খাওয়ানো নয়, ছোট করেই লক্ষ্মীপুজো পালন করবেন তিনি, ঠিক যতটুকু না করলেই নয়।
মন ভাল নেই তাঁর। তিলোত্তমা বিচার পায়নি এখনও। অনশনে চিকিৎসকেরা। এই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে কোনও পার্থিব উদযাপন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন অভিনেত্রী। একই সঙ্গে তুলেছেন বেশ কিছু প্রশ্ন। তাঁর কথায়, “এমন এক সময়ের সম্মুখীন আমরা যখন আমাদের ঘরের লক্ষ্মীরা দেবীপক্ষের অনেক আগে থেকেই আত্মপক্ষের লড়াই বুকে বেঁধেছে, প্রতি রাতে রাজপথে রাজপথে প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে, “কার চেতনা জাগ্রত? কে আছো এই নবজাগরণের লড়াই মাথায় ধারণ করবে? .. যে সময়ে রক্ত মাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা প্রতিনিয়ত, সেই সময়ে উপাসনা থাকলেও লক্ষ্মী দেবীর পূজা উদযাপন খানিকটা নিরর্থক।”
না, পুজো তিনি থামাচ্ছেন না। মা লক্ষ্মীর আসায় যেন বিচ্যুতি না থাকে সে ব্যবস্থাও প্রতিবারের মতো এবারেও নিজের হাতে করবেন তিনি। তবে অকারণ উদযাপন নেই– এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। দু’মাস আগে ঘটে যাওয়া নারকীয় কাণ্ড ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী। ভুলতে চানও না। বিশেষ দিনে তাই তাঁর একটাই প্রার্থনা, ‘বিচার দিও মা’।