বছর খানেক আগে ব্যাংককে গিয়েছিলেন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত। একটি হলুদ রঙের পাইথনকে গলায় জড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন তিনি। খেয়েছিলেন চুমু। আদরে ভেসেছিলেন সেই পাইথনের সঙ্গে। তাঁর সেই ছবি দেখে সকলের রক্ত হিমও হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টাকে স্বাভাবিক চোখেই দেখেছিলেন সাপপ্রেমী দিব্যজ্যোতি। সম্প্রতি পাটায়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন দিব্যজ্যোতি। সেখানে গিয়েও সাপের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন অভিনেতা। তা নিয়ে ফের আলোচনা হয়েছে নেট পাড়ায়। অন্যদিকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে একাধিক বল পাইথন পোষার খবর শিরোনাম দখল করে নিয়েছে। দিব্যজ্যোতি কি তবে সৃজিতের পথ অনুসরণ করছেন? তিনিও কি তবে সাপ পুষবেন? এ ব্যাপারে টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালকে কী জানালেন অভিনেতা?
দিব্যজ্যোতি বলেছেন, “সাপ আমার চিরকালীন প্রিয় প্রাণী। বিশেষ করে পাইথন আমার ভীষণ ভাল লাগে। থাইল্যান্ডে গিয়ে দু’বার সাপের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।” সৃজিতের মতো দিব্যজ্যোতিও বাড়িতে পুষতে চান সাপ। তাঁর কিছু প্রিয় সাপ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম পাইথন। তবে মায়ের অনুভূতি মিলছে না। অভিনেতা বলেছেন, “আমার মা অনুমতিই দিচ্ছেন না। যেদিন সেই অনুমতি মিলবে, তৎক্ষণাৎ আমার বাড়িতেও থাকবে দারুণ সব সুইট সাপ।”
কী ধরনের পাইথন পুষতে চান দিব্যজ্যোতি? জানিয়েছেন, বল পাইথন পুষবেন না। পাইথনগুলি আকারে অনেক বড় হয়। ছোট আকারের কর্ন পাইথন পছন্দ করেন অভিনেতা। রংবেরঙের হয় এই সাপ। বানানা বল পাইথানও তাঁর প্রিয়। তবে তাঁর মায়ের অনুমতি মিললেই সাপ পোষার স্বপ্ন সার্থক হবে।
আরও জানিয়েছেন দিব্যজ্যোতি যে, তিনি মহিলা পাইথন বাড়িতে রাখবেন না। অভিনেতার মত, এই ধরনের সাপের পিছনে প্রচুর পরিশ্রম। খোলস ছাড়ার সময় সাপের খুব টালমাটাল পরিস্থিতি হয়। মহিলা মাইথনরা আবার ডিম দেয়। সেটা একটা কঠিন বিষয়। ফলে আপাতত ছেলে পাইথনই পোষার স্বপ্ন দেখছেন অভিনেতা।
সাপ পোষার বিষয়টি নিয়ে সৃজিতের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা ভেবেছেন দিব্যজ্যোতি। তিনি বলেছেন, “আমার সঙ্গে সৃজিতদার আলাপ আছে। কিন্তু তাঁর পাইথনগুলি দেখার সৌভাগ্য এখনও আমার হয়নি। পাইথন পুষতে গেলে অনেকরকম অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেই প্রক্রিয়া ঠিক কী, তা আমি সৃজিতদার সঙ্গে আলোচনা করে জেনে নিতে চাই।”