দিন কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, একের পর এক নোংরা ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁকে। তাঁর অভিযোগ ছিল, সোশ্যাল মিডিয়াতে অশালীন ভাষায় লেখা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছিলেন অভিনেত্রী। এর দিন কয়েক পর এফআইআর দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশি পদক্ষেপ না করার অভিযোগ তুলে ফের সরব হলেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে এ দিন রূপা লেখেন, “গণ মাধ্যমের চাপে পড়ে গত শনিবার পাটুলি থানা এফআইআর নিতে বাধ্য হয়েছিল। রাত ১০ টা অবধি বসে থেকে এফআইআরের কপি নিয়ে ফিরেছি। তারপর থেকে আজ পরের শনিবার অবধি ওদের কোনও খবর নেই। মাঝখানে একবার আমরা ফোন করাতে বলেছে meta নাকি মেইলের উত্তর দেয় নি। দিলেই, কিছু এগলেই আমায় জানানো হবে। এদিকে একটা অ্যাকাউন্ট থেকে এখনও বাজে কমেন্টস করা হচ্ছে। সব কটা প্রোফাইল লিংক আর সাথে সব কটা স্ক্রিনশটের বিবরণী দেওয়ার পরেও এসব চলছে । এক সপ্তাহে পুলিশের তরফ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয় নি।” রূপা জানান, পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না তিনি। তবে যা ঘটছে তাতে ভাল নেই তিনিও। তাই জনতার দরবারেই বিচারের আশায় এই অভিনেত্রী। তিনি আরও যোগ করেন, “পুলিশকে ভরসা এমনিও করছি না । আমার ভরসা আপনারা। নাগরিকরা। আগের সব কথা আপনাদের জানিয়েছিলাম তাই এখনকার অবস্থাও জানালাম।”
ঠিক কী ঘটেছিল রূপার সঙ্গে? অতীতে টিভিনাইন বাংলাকে রূপা বলেন, “আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অশালীন কথা বলা হত। প্রথমে ইগনোর করেছি। তারপর আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের কিছু পোস্ট করলে, সেখানেও অত্যন্ত খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি জিম করছি এমন একটা ছবি দিয়ে অশ্লীল কথা বলা হয়েছে। আমার মুখ দিয়ে ফেক ভিডিয়ো বানিয়ে ভাইরাল করে দেওয়া হবে, তেমন মন্তব্যও এসেছে। আমার এক বন্ধু প্রতিবাদ করেছিল। তিনি ছেলে হওয়ায় তাঁকে বলা হয়েছে যৌন হেনস্থার কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। লালবাজারে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ করেছি। এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। আইনি পদক্ষেপ করছি। সেই সঙ্গে রূপা যোগ করেন, “অনেকে মনে করেন, আমি এখন কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ নই বলে, আমার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। কিন্তু আমার পাশে দর্শকরা আছেন, নাগরিকরা আছেন।” অতীতে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন রূপা, পরে যদিও সরে আসেন তিনি। আপাতত ফেক অ্যাকাউন্টের হাত থেকে নিস্তার চাইছেন অভিনেত্রী। পুলিশ কী পদক্ষেপ করে আগামী দিনে, এখন সেটাই দেখার।