সাধ মেটেনি, ফের বিয়ে করতে চাইছেন গায়িকা লোপামুদ্রা; পাত্র কে?

Sneha Sengupta |

Feb 29, 2024 | 11:48 AM

Lopamudra Mitra: আইনিভাবে সইসাবুদ করে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছিলেন বাঙালি গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র এবং সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার। সামাজিক কোনও অনুষ্ঠানই হয়নি তাঁদের। ফলে বিয়ের মণ্ডপে বসার সাধ অপূর্ণই থেকে গিয়েছে গায়িকার। বাকিদের বিয়ে করতে দেখে ফের বিয়ে করতে চাইছেন লোপামুদ্রা। কিন্তু পাত্র কে?

সাধ মেটেনি, ফের বিয়ে করতে চাইছেন গায়িকা লোপামুদ্রা; পাত্র কে?
লোপামুদ্রা মিত্র।

Follow Us

২৩ বছর আগেকার কথা। বিয়ে করেছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র এবং জয় সরকার। লোপামুদ্রা বাংলা জগতের প্রতিষ্ঠিত নাম। জয় সরকার জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক। শুরুর দিকে লোপামুদ্রার অন্ধভক্ত ছিলেন জয়। অনুগামী হিসেবেই পরিচয় করেছিলেন নিজের। লোপামুদ্রা জয়ের মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন এক বুঝদার পুরুষকে। যে ভীষণই ম্যাচিওর। লোপামুদ্রাকে হঠাৎই একদিন বিয়ে করে ফেলেন জয়।

সম্প্রতি এক বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন লোপামুদ্রা এবং জয়। সেখানে গিয়ে ছবি তুলেছিলেন নবদম্পতির সঙ্গে। কেবল তাঁরা নন, আমন্ত্রিতদের সঙ্গেও ভাল সময় কাটিয়েছিলেন লোপামুদ্রা এবং জয়। তারপরেই গায়িকার মনে আক্ষেপ দেখা দেয়। জয় এবং তাঁর বিয়েতে তেমনভাবে কোনও আমন্ত্রিতকেই নিমন্ত্রণ জানান হয়নি। জাঁকজমকহীনভাবে হয়েছিল সেই বিয়ের অনুষ্ঠান। ডাইরির পাতা উল্টাতে-উল্টাতে লোপামুদ্রা এবং জয় খুঁজে বের করেছিলেন একটা তারিখ। ২২ জানুয়ারি। সেদিন দু’জনের কারওই কোনও গানের অনুষ্ঠান ছিল না। ছিল না কোনও রেকর্ডিংও। ফাঁকা ছিল দিনটা। সেই দিনই চট করে বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন লোপামুদ্রা-জয়।

আইনিভাবে সইসাবুদ করে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেছিলেন লোপামুদ্রা-জয়। সামাজিক কোনও অনুষ্ঠানই হয়নি তাঁদের। ফলে বিয়ের মণ্ডপে বসার সাধ অপূর্ণই থেকে গিয়েছে গায়িকার। বাকিদের বিয়ে করতে দেখে তাঁদের মনে ফের সেই সাধ জেগেছে। লোপামুদ্রা ফের বিয়ে করতে চাইছেন। স্বামী জয়কেই ফের বিয়ে করতে চান লোপামুদ্রা।

এখানে আরও একটা টুইস্ট আছে। ২৩ বছর আগে নিজের থেকে বয়সে চার বছর ১১ মাসের ছোট জয়কে বিয়ে করেছিলেন লোপামুদ্রা। সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে তাঁকে হয়তো কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হত সেই সময়। নানারকম কটাক্ষ সহ্য করতে হত। কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে লোপা বলেছেন, “আমার থেকে বয়সে ছোট হলেও জয় কিন্তু বেশ বুড়ো। ওই আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচিওর। আমি কিশোরীদের মতো।”

Next Article