ছৌ-নাচ। বাংলার গর্বের নৃত্যশিল্প। অনেকেই মনে করেন ধিরে ধিরে আঞ্চলিক এই সৃংস্কৃতিগুলো হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে। সত্যি কি তাই? নিজের চোখে মধ্যরাতে এ কী দেখলেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু! সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নিলেন সেই অভিজ্ঞতা। শুটের কাজে কিংবা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয় অভিনেতাদের। তেমনই এক অনুষ্ঠান করে পুরুলিয়ার ওপর দিয়ে ফিরছিলেন বিশ্বনাথ। আর সেখানেই যা দেখলেন, তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্বের সঙ্গে লিখলেন এক দীর্ঘ পোস্ট, ‘রাত তখন প্রায় তিনটে হবে, আমরা আসানসোল-এ অনুষ্ঠান শেষ করে পুরুলিয়া-র মুরগুমার পথে…। হঠাৎ চোখ কানে যেন একরাশ আলো আর আওয়াজ আছড়ে পরলো। চোখ আর কানকে বিশ্বাস করতে সময় নিচ্ছিল আমার মস্তিষ্ক। শ’খানেক মানুষ আপাদমস্তক শীতের পোশাক পরে চাক্ষুষ করছে আমাদের সংস্কৃতির আদিম সৃষ্টি ছৌ নাচকে। কে বলে, হারিয়ে যেতে চলেছে আমাদের আদি অকৃত্রিম পরম পাওয়া। আমি চিরকালই এক ভাগ্যবান মানুষ, আরেকবার প্রমাণ পেলাম বেশ খানিকক্ষণ সাক্ষী থাকতে পেরে। ধামসা মাদোল ট্রাম্পেট বাঁশি আর তেমনই গান ও বাচিক অভিনয়। কি-ই বা দিতে পারি আমি? তাতেই হাজার ক্লান্ত হওয়ার বায়ানাক্কা। প্রণাম নেবেন শিল্পী বন্ধুরা। হাল্কা শীতের রাতের বুক চিড়ে মাটির বুকে বারবার শরীরি কসরৎ দীর্ঘজীবি হোক। যে গর্ব অহংকার আজ একজন দর্শক হিসাবে আমাকে ছুঁয়ে গেলো তা যেন বিশ্বজনীন হয়…..’।