AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dharmendra Passes Away: ধর্মেন্দ্রপতন, ভারতীয় সিনেমায় যুগাবসান

একটি ফিল্ম ম্য়াগাজিনের নিউ ট্য়ালেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। বলাই বাহুল্য, তাঁর স্টারসুলভ চেহারা জিতে নিয়েছিল বিচারকদের মন। প্রথম প্রতিযোগিতাতেই প্রথম হলেন ধর্মেন্দ্র। ব্যস, প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে সোজা সিনেমায় সুযোগ।

Dharmendra Passes Away: ধর্মেন্দ্রপতন, ভারতীয় সিনেমায় যুগাবসান
Dharmendra Death
| Updated on: Nov 24, 2025 | 2:12 PM
Share

তিনি বলিউডের ‘হিম্য়ান’। সুঠাম, পেশিবহুল চেহারায় ছয়, সাতের দশকের সিনেমার পর্দায় এসে দাঁড়ালে পুরুষরা হতেন অনুপ্রাণিত আর নারীরা দুমদাম প্রেমে পড়তেন। পঞ্জাবের লুধিয়ানার কৃষক পরিবারের সন্তান। যৌবনকাল থেকেই তাঁর টল ডার্ক হ্য়ান্ডসাম চেহারার জন্য পাড়া প্রতিবেশিরা ‘হিরো’ বলেই ডাকতেন। হয়তো সেই ডাক থেকেই মনের মধ্যে স্বপ্নের বুনোট। আর সেই স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়েই মুম্বইয়ে চলে আসেন ধর্মেন্দ্র সিং দেওল।

কীভাবে স্বপ্নপূরণ?

সময়টা ছয়ের দশক জনপ্রিয় একটি ফিল্ম ম্য়াগাজিনের নিউ ট্য়ালেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। বলাই বাহুল্য, তাঁর স্টারসুলভ চেহারা জিতে নিয়েছিল বিচারকদের মন। প্রথম প্রতিযোগিতাতেই প্রথম হলেন ধর্মেন্দ্র। ব্যস, প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে সোজা সিনেমায় সুযোগ। প্রথম ছবি ১৯৬১ সালের ‘দিল ভি তেরা’, ‘হাম ভি তেরে’। প্রথম ছবি থেকেই ধর্মেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।

এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ধর্মেন্দ্রকে। ‘সুরত অউর সিরাত’, ‘বন্দিনী’, ‘দিলনে ফির ইয়াদ কিয়া’, ‘অনপড়’, ‘পুজা কে ফুল’, ‘আঁখে’, ‘ফুল অউর পত্থর’, ‘আয়া মিলন কি বেলা’, ‘আয়া সাওয়ান ঝুমকে’, ‘মেরে হামদম মেরে দোস্ত’, একের পর এক সুপারহিট ছবি। কখনও পুরোদস্তুর প্রেমিক হিরো, তো কখনও অ্য়াকশনপ্যাকড নায়ক। সবেতেই বক্স অফিসকে হাতের মুঠোয় নিয়েছিলেন। যার প্রমাণ হেমা মালিনীর সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘সীতা অউর গীতা’ এবং অমিতাভের সঙ্গে ‘শোলে’। শোলের জয়-ভীরু তো বলিউডের আইকন। বন্ধুত্ব মানেই ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে…’

Dharmendra

তবে শুধু সিনেমার পর্দা নয়, ধর্মেন্দ্র বাস্তব জীবনও ছিল রঙিন। ১৯৫৪ সালে ধর্মেন্দ্রর বাবা-মা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রকাশ কর নামক উনিশ বছর বয়সী এক তরুণীর বিয়ে দেন, তখন ধর্মেন্দ্রর বয়সও ছিল উনিশ, এই প্রকাশ কর এবং ধর্মেন্দ্রর চারজন সন্তান হয়, দুই ছেলে সানি দেওল এবং ববি দেওল মেয়ে বিজেতা এবং অজিতা। দুই ছেলে বলিউডে পা দিলেও, মেয়েরা সিনেমার থেকে দূরে থেকেছেন।

তবে বলিউডে পা রাখার পর, সিনেপর্দার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব জীবনেও সুপারহিট হয় ধর্মেন্দ্র ও হেমার জুটি। শোনা যায়, ১৯৮০ সালে গোপনে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। যদিও প্রথম স্ত্রী প্রকাশ করকে তিনি ডিভোর্স দিতে চাননি। এমনকী, শেষ জীবনে প্রথম স্ত্রীর কাছেই ছিলেন ধর্মেন্দ্র। অন্য়দিকে, হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দুই কন্যা সন্তান এষা দেওল ও আহানা দেওল।

Dharmendra

আগামী ডিসেম্বর মাসে ৯০ বছরে পা রাখতেন ধর্মেন্দ্র। ৯০ বছর বয়স হলেও, বলিউডে এখনও দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছিলেন। জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির সঙ্গে জুটি বেঁধে করণ জোহরে রকি অউর রানি কি প্রেমে কাহানি ছবিতে তো তাঁর অভিনয় সিনেমার পর্দায় ম্যাজিক তৈরি করেছিল। এমনকী, সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর ‘ইক্কিস’ ছবির ঝলক। যেখানে ধর্মেন্দ্রকে বোঝাই যায় না তাঁর নব্বই বছর বয়স। ধর্মেন্দ্র প্রয়াণ স্বাভাবিক ভাবেই বলিউডের একটি যুগের অবসান। বলিউডের হিম্যানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।