AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amitabh Bachchan: ‘দর্শকদের সেই ঋণ কোনওদিন শোধ করার নয়’, ভয়াবহ সেই দিন আজও ভুলতে পারেন না অমিতাভ

Amitabh Bachchan: মুহূর্তে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একটা সময় ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে জানিও দিলেও ভাগ্যে ছিল অন্যকিছু। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল গোটা বচ্চন পরিবার, বলিউডে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। ভক্তরা তখন অপলক দৃষ্টিতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে চলেছেন সুপারস্টারের জন্যে।

Amitabh Bachchan: 'দর্শকদের সেই ঋণ কোনওদিন শোধ করার নয়', ভয়াবহ সেই দিন আজও ভুলতে পারেন না অমিতাভ
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2023 | 2:27 PM
Share

অমিতাভ বচ্চন, দর্শক মহলে যাঁকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ ৫ দশক ধরে তুঙ্গে। যে কোনও বয়সে, যে কোনও পরিস্থিতিতেই অমিতাভ বচ্চন জানেন কী করে পর্দায় রাজত্ব করতে হয়। আর তা যদি তাঁর ক্রিম সময় ঘটে থাকে, তবে তো বলাই বাহুল্য। সাল ১৯৮২, তখন অমিতাভ বচ্চন মানেই ব্লকবাস্টার। একের পর এক ছবির কাজ তাঁর ঝুলিতে, ‘কুলি’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। হঠাৎই এক মারপিটের দৃশ্যে বুকে আঘাত পান অভিনেতা। তারপর যা যা ঘটে সবটাই ছিল এক দুঃস্বপ্ন। মুহূর্তে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একটা সময় ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে জানিও দিলেও ভাগ্যে ছিল অন্যকিছু। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল গোটা বচ্চন পরিবার, বলিউডে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। ভক্তরা তখন অপলক দৃষ্টিতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে চলেছেন সুপারস্টারের জন্যে।

আর ঈশ্বর শত শত মানুষের চোখের জল বোধ হয় ফেরাতে পারেননি, তাই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন অমিতাভ। তবে থেকেই পাল্টে গিয়েছে তাঁর জীবনের অনেক কিছু। পাল্টে গিয়েছে অমিতাভের জীবন দর্শন। অনেকেই সেই দিনটিতে অমিতাভ বচ্চনের দ্বিতীয় জন্মদিন পালন করেন। কারণ অমিতাভ বচ্চন নিজেই বলেছিলেন, ”আমি তো প্রায় মরেই গিয়েছিলাম, এই দিন আমার নতুন করে জন্ম হয়েছে ভক্তদের প্রার্থনায়, জয়ার প্রার্থনা। এর প্রতিদান আমি কোনওদিন দিতে পারব না। এ ঋণ আমি কোনওদিন শোধ করতে পারবো না।”

যদিও এই প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন তিনি। অবশেষে সেই ভয়াবহ দিন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অমিতাভ। দর্শকদের প্রতি তার ভালবাসা শ্রদ্ধা যে কোনও পর্যায় তাঁর, তা বারবার তিনি প্রমাণ করে দেন তাঁর ব্যবহারে। তাঁর আচরণে। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। এখনও পর্যন্ত জলসায় (অমিতাভের বাড়ি) প্রতি রবিবার বিকেলে যখন তিনি দর্শকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, তাঁর পায়ে চটি থাকে না। তিনি খালি পায়ে এসে দাঁড়িয়ে সকলের সামনে হাতজোড় করে নমস্কার জানান, ভালোবাসা জানান, কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে দর্শকই তাঁর ভগবান তাঁদের আশীর্বাদেই তাদের ভালবাসাতেই তিনি আজ এই পর্যায়ে পৌঁছিয়েছেন বলেই দাবি করেন। আর ভগবানের দরবারে চটি পড়ে যাওয়া যায় না সেই জন্যই রবিবার বিকেলে দর্শকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় খালি পায়ে থাকেন তিনি।