Amisha Patel: ‘গদর’-এর প্রস্তুতি পর্বে পরিচালকের কাছে মার খেতে হয়েছিল আমিশা পাটেলকে

Anil Sharma: ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ছবির সিকুয়্যেল। তখনও ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমিশা পাটেল এবং সানি দেওল। 'গদর'-এর মতো তার সিকুয়্যেলও বক্স অফিসে হিট করেছে খুব। ছবির সাফল্য নিয়ে সাক্ষাৎকারে আমিশা সম্পর্কে অনেককিছু বলেছেন পরিচালক অনিল শর্মা। কী বলেছেন তিনি?

Amisha Patel: 'গদর'-এর প্রস্তুতি পর্বে পরিচালকের কাছে মার খেতে হয়েছিল আমিশা পাটেলকে
আমিশা পাটেল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2023 | 8:35 PM

২২ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল হিন্দি ছবি ‘গদর’। অনিল শর্মা ছিলেন সেই ছবির পরিচালক। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমিশা পাটেল এবং সানি দেওল। ব্লকবাস্টার হিট করেছিল ছবি। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ছবির সিকুয়্যেল। তখনও ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আমিশা এবং সানি। ‘গদর’-এর মতো তার সিকুয়্যেলও বক্স অফিসে হিট করেছে খুব। ছবির সাফল্য নিয়ে সাক্ষাৎকারে আমিশা সম্পর্কে অনেককিছু বলেছেন পরিচালক অনিল শর্মা। কী বলেছেন তিনি?

দেশভাগের গল্প বলেছিল ‘গদর’। অনিল জানিয়েছেন, পিরিয়ড ছবি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির নাক সিঁটকানো স্বভাব আছে। কেন না, এই ধরনের ছবিতে চাকচিক্য থাকে কম। এবং সেই কারণেই কোনও নায়িকা গদর ছবিতে অভিনয় করতে চাইছিলেন না। যাঁরা রাজি হচ্ছিলেন, অনেক টাকা চাইছিলেন। একজন রাজিও হয়েছিলেন, কিন্তু করতে পারেননি। কারণ, প্রযোজক বলেছিলেন সেই অভিনেত্রীকে কাস্ট করা হলে অমরেশ পুরিকে বাদ দিতে হবে। তাতে রাজি ছিলেন না পরিচালক। তাই নতুন নায়িকার খোঁজ চলে।

১০জন নতুন নায়িকার অডিশন নেওয়া হয়েছিল ‘গদর’ ছবির সাকিনা চরিত্রটার জন্য। আমিশা তৈরি ছিলেন না সেই সময়। অন্য একজন অভিনেত্রী অনেক ভাল অডিশন দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দেখতে সাকিনার মতো ছিল না। ফলে আমিশাকে তালিম দিতে হয়েছিল।

অনিল বলেছেন, “আমিশা চাঁদের মতো ফর্সা ছিল। সেটাই আমাদের দরকার ছিল। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ধনী পরিবারের মেয়ে ছিল সে। বস্টনে পড়াশোনা করেছিল। হীরের গয়না পরত। ওর কথা বলার ভঙ্গিও অন্যরকম ছিল। আমি ভেবেছিলাম ডাব করলে হয়ে যাবে।”

ছবির প্রস্তুতির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন আমিশা। ৫ মাস ধরে সাকিনা হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। পরিচালক বলেছেন, “১৯৭৪ সালের এক মহিলাকে কীভাবে চিনত এই মেয়েটা? সাকিনা হয়ে উঠতে অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিল আমিশা। ও খারাপ অভিনেতা ছিল না। নিজের সংলাপ জলের মতো মুখস্থ করে ফেলেছিল। মাথা উঁচু করে হাঁটত। মাথা যাতে নিচু করে হাঁটে তাই আমি ওর পিছনে মারতাম। ওই সময় মায়েরা মেয়েদের ওভাবেই হাঁটা অভ্যাস করাত।”