রুবিনা পেয়েছেন ৩৬ লক্ষ, রাখি-রাহুল-নিক্কি– বিগবস শেষে কার কত লক্ষ্মীলাভ হল?

প্রতি বছরের মতো এ বছরও বিগবসের বিজয়ীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিগবসের দেওয়া লোভনীয় অফার গ্রহণ করে ৫০ লক্ষর থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ঢুকেছে রাখি সাওয়ান্তের পকেটে।

রুবিনা পেয়েছেন ৩৬ লক্ষ, রাখি-রাহুল-নিক্কি-- বিগবস শেষে কার কত লক্ষ্মীলাভ হল?
বিগবসের প্রতিযোগীরা।
Follow Us:
| Updated on: Feb 22, 2021 | 3:27 PM
শেষ হয়েছে বিগবস ১৪। বিজয়ী হয়েছেন অভিনেত্রী রুবিনা দিলায়েক। ঘরে নিয়ে গিয়েছেন প্রাইজ মানি ৩৬ লক্ষ টাকা। রাহুল, রাখি, নিক্কি তাম্বোলির পকেটে ঢুকল কত?  দেখে নিন এক নজরে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও বিগবসের বিজয়ীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিগবসের দেওয়া লোভনীয় অফার গ্রহণ করে ৫০ লক্ষর থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ঢুকেছে রাখি সাওয়ান্তের পকেটে। বিগবসের তরফে পাঁচ ফাইনালিস্টকে অফার দেওয়া হয়েছিল হয় ১৪ লক্ষ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়ুন পঞ্চম স্থানেই নয়তো বিগবসের ট্রফির জন্য টাকার মায়া ত্যাগ করে খেলতে থাকুন। রাখির পছন্দ হয়েছিল প্রথম অফারটাই। তাই বিজয়ী হওয়ার সুযোগ ছেড়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ১৪ লক্ষ টাকা। কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, মায়ের চিকিৎসার জন্য ওই টাকা তাঁর দরকার।
View this post on Instagram

A post shared by Rubina Dilaik (@rubinadilaik)

বিগবসের প্রাইজমানি ৫০ লক্ষ থেকে ওই ১৪ লক্ষ বাদ দেওয়ার বাকি পড়েছিল ৩৬ লক্ষ। তাই বিজয়ী রুবিনাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ওই ৩৬ লক্ষ নিয়েই। বিগবসের নিয়ম অনুযায়ী রানার্স আপ অথবা তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চমের জন্য কোনও প্রাইজ মানি থাকে না। তাই দ্বিতীয় স্থানে আসার পরেও রাহুলের ভাগ্যে জোটেনি কোনও প্রাইজ মানি। একই অবস্থা নিক্কি তাম্বলি এবং আলি গোনিরও। তাই বলে কি নিক্কি, রাহুল বা আলির ভাঁড়ে মা ভবানী? একেবারেই নয়।

সূত্র বলছে, শুধুমাত্র অংশগ্রহণ করার জন্যই প্রতি সপ্তাহে এত টাকা কামিয়ে ফেলেছেন ওঁরা যে আগামী কয়েকটা মাস নিশ্চিন্তে হেসেখেলে কাটাতে পারবেন। শোনা যাচ্ছে, প্রতি সপ্তাহের জন্য রুবিনাই ছিলেন বিগবসের বাড়ির অন্যতম ‘হায়েস্ট পেয়েড’ প্রতিযোগী। তিনি পেতেন সপ্তাহ শেষে ৫ লক্ষ টাকা। প্রায় পাঁচ মাস ছিলেন তিনি বিগবসের বাড়ি। হিসেব করুন। প্রাইজ মানি মিলিয়ে বিগবস শেষে রুবিনা এখন কোটিপতি।

জানা যাচ্ছে, রুবিনার স্বামী অভিনব শুক্লা পেতেন সপ্তাহে দেড় লক্ষ টাকা, অন্যদিকে রাহুল বৈদ্য, নিক্কি তাম্বোলি পেতেন যথাক্রমে এক লক্ষ এবং এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে। বিভিন্ন সূত্র বলছে আলি গোনির সপ্তাহ শেষে প্রাপ্য টাকা নাকি এই সিজনে সবচেয়ে বেশি ছিল। এক সপ্তাহে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। তবে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। রাখি সাওয়ান্তকে নাকি দেওয়া হত সপ্তাহান্তে আড়াই লক্ষ টাকা।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন খালি হাতে ফিরতে হয়নি কাউকেই। কম-বেশি সবার ভাগ্যেই জুটেছে কিছু না কিছু। শেষ হয়েছে বিগবস ১৪। কিন্তু রেশ আজও চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া এখনও প্লাবিত হচ্ছে বিগবস জোয়ারে।