AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সন্তানসম্ভবা করিনাকে কোন বিশেষ ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন শর্মিলা?

Kareena Kapoor Khan: জে হওয়ার আগে লেখিকা হিসেবেও কাজ করেছেন করিনা। তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রথম বই ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’-এর মাধ্যমে।

সন্তানসম্ভবা করিনাকে কোন বিশেষ ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন শর্মিলা?
করিনা কাপুর খান এবং শর্মিলা ঠাকুর।
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2021 | 2:28 PM
Share

তৈমুর আলি খান এবং জে। দুই সন্তানের গর্বিতা মা করিনা কাপুর খান। দু’বারই সন্তানসম্ভবা করিনা চুটিয়ে কাজ করেছিলেন। দ্বিতীয় বার প্যানডেমিকের কারণে বাড়ি থেকেই করেছিলেন শুটিং। আর অন্তঃসত্ত্বা করিনাকে কাজ করতে যাঁরা উৎসাহ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম তাঁর শাশুড়ি মা শর্মিলা ঠাকুর। এই তালিকায় রয়েছেন করিনার মা ববিতা এবং স্বামী সইফ আলি খানও।

জে হওয়ার আগে লেখিকা হিসেবেও কাজ করেছেন করিনা। তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রথম বই ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’-এর মাধ্যমে। একজন হবু মায়ের কী কী সমস্যা হতে পারে, কী কী ভাল লাগা তৈরি হয়, নিজের অভিজ্ঞতায় যা যা দেখেছেন, সবই লিপিবদ্ধ করেছেন ওই বইতে। ফলে শুটিংয়ের পাশাপাশি লেখা নিয়েও ব্যস্ত থাকতেন নায়িকা

সদ্য এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে করিনা বলেন, “সইফ আমাকে বলেছিল, তুমি সব কাজ করতে পারবে। আমরা দু’জনেই প্রচুর পরিশ্রম করি। আমি নিশ্চিত আমাদের দুই সন্তান সেই পরিশ্রমের মূল্য দেবে। তৈমুরের মতো জেও কনফিডেন্ট হবে ওর বাবা, মায়ের জন্য।”

সন্তানসম্ভবাদের অনেক রকম শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। একই সঙ্গে মন মেজাজও অনেক সময় নিজের আয়ত্তে থাকে না। তার মধ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়া কখনও কখনও সমস্যার। কিন্তু ওই সময়ে করিনারে আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে সাহায্য করেছিলেন শর্মিলা। করিনার কথায়, “আমার শাশুড়ি মা প্রথম থেকেই বলেছিলেন, কাজ চালিয়ে যতে হবে। যে কাজই করতে চাই, সেটাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করার সাহস দিয়েছিলেন উনি। ওঁর বিয়ের পর, সন্তানের জন্মের পরও উনি যে ভাবে কাজ করেছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণার। মাও আমার কাছে রোল মডেল। মা, বাবাও কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।”

করিনা আরও জানান, সন্তানের জন্ম দেওয়া কোনও মহিলার পক্ষেই খুব সহজ কাজ নয়। সে কারণেই পরিবারের সমর্থন, প্রিয়জনেদের পাশে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তৈমুরের জন্মের পরও খুব দ্রুত ফ্লোরে ফিরেছিলেন করিনা। আবার জে-র জন্মের এক মাসের মধ্যে শুটিং শুরু করেন। ফলে পোস্ট প্রেগন্যান্সি ওয়ার্ক কালচারে করিনা নিঃসন্দেহে বলিউডে একটি ল্যান্ডমার্ক তৈরি করতে পেরেছেন বলে মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ।

আরও পড়ুন, আর্থিক অনটনে অভিনেত্রী সবিতা বাজাজ, বাড়ি ভাড়া দেওয়ারও সামর্থ্য নেই