Aryan Khan Drug Case: শাহরুখপুত্র আরিয়ান নির্দোষ, জানিয়েছে এনসিবি গঠিত নতুন তদন্তকারী দল সিট
Aryan Khan-Drug Case: ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল মামলা। আরিয়ানের বিরুদ্ধে নাকি পাওয়া যায়নি মাদক-কাণ্ডে যুক্ত থাকার কোনও তথ্য প্রমাণ।
গত বছরের অক্টোবরের শুরু। গোটা দেশ হিলে গেল। মুম্বই থেকে গোয়াগামী কর্ডেলিয়া ক্রুজ় থেকে ‘বাদশাহ’ (Shahrukh Khan) পুত্র আরিয়ান খানকে (Aryan Khan) জেরা করল নার্কোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো (NCB)। গ্রেফতার হলেন ২৩ বছরের আরিয়ান। তাঁকে কাটাতে হল আর্থার রোডের জেলে। ড্রাগ মামলায় ছেলে গ্রেফতার প্রায় এক মাস! শাহরুখ-গৌরীর জীবনে অন্ধকার। অন্ধকার বাদশাহের স্বপ্নের প্রাসাদ মন্নতেও। মুখ চুন শাহরুখানুরাগীদেরও। একাধিকবার জামিনের পর ছাড়া পেলেন আরিয়ান। আজ, বুধবার (০২.০৩.২০২২), ঠিক পাঁচ মাস পর এনসিবি গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল সিট (SIT) জানিয়েছে, মাদক মামলায় জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি আরিয়ানের বিরুদ্ধে। জানিয়েছে, কর্ডেলিয়ায় এনসিবির তদন্তে বেশ কিছু ফাঁকও নাকি রয়ে গিয়েছে।
এনসিবির মুম্বইয়ের তদন্তের বিরোধিতা করেছে এনসিবি গঠিত নতুন দল সিট। সিটের তদন্তকারীরা বলেছেন, আরিয়ানের ফোন জমা নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাঁর চ্যাট পড়ারও কোনও প্রয়োজন ছিল না। আরিয়ানের নাকি মাদকের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই। তাঁরা জানিয়েছেন, যে সব চ্যাট রয়েছে তা থেকে আরিয়ানের মাদক মামলায় জড়িত থাকার কোনও প্রমাণই নাকি পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, এনসিবি রেডের কোনও ভিডিয়ো রেকর্ডিং নেই। সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছে সিট।
সিটের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সময় লাগবে আরও কয়েক মাস। তারপর তাঁরা সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেবেন। আইনি সহায়তাও নেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
অক্টোবরের সেই রাতে আরব সাগরের তীরে যে প্রমোদতরীতে মাদকের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ-পুত্র। সেদিনই মুম্বই থেকে ছাড়ার কথা ছিল কর্ডেলিয়া এমপ্রেস শিপের। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্য়দের নিয়ে তিনদিনের মিউজিক্যাল সফরে যাওয়ার কথা ছিল ওই ক্রুজশিপের। কিন্তু জাহাজ ছাড়ার আগেই এন সি বির কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, ওই প্রমোদতরীতে মাদক সেবনও চলবে। এরপরই ছদ্মবেশে হানা দেয় এন সি বির আধিকারিকরা।
মুম্বইয়ের বন্দর ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনসিবি। বাজেয়াপ্ত হয় বিপুল পরিমাণ মাদক। গতরাতেই এনসিবির তরফে জানানো হয়েছিল, ওই প্রমোদতরণীতে উপস্থিত সকলকে জেরা করা হচ্ছে। সেই সময় বলিউডের কেউ উপস্থিত রয়েছেন কিনা, প্রশ্ন করা হলে তারা উত্তর দেননি। কিন্তু এ দিন সকালেই জানা যায়, ওই ক্রুজে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানও। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বয়ান রেকর্ড করে গ্রেফতার করা হয়।
তবে একা আরিয়ান খান নন, গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানরাও। এরমধ্যে দিল্লির এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর কন্যারাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল। আরবাজ মারচেন্ট, মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমাত সিং, মোহাক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর ও গোমিত চোপড়া নামক আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলেরই ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এন সি বি সূত্রে জানা গিয়েছিল, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছিল, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এম ডি এম এ পিলস ছিল।
যদিও আরিয়ানের তরফে তাঁর কৌঁসুলি সতীশ মানশিন্ডের দাবি, ওই প্রমোদতরীর কোনও টিকিট তাঁর কাছে ছিল না। শুধুমাত্র তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরিয়ানের জামিনের আবেদনও করেছিলেন তিনি। অনেক চেষ্টার পর মুম্বই হাইকোর্ট জামিনে মুক্ত করেছিল আরিয়ানকে।
আরও পড়ুন: Sreelekha Mitra: পছন্দের পুরুষ ফারহান আখতার ফের বিবাহিত, দীর্ঘশ্বাস পড়ছে শ্রীলেখার
আরও পড়ুন: Film on Make Up Artist: মেকআপ আর্টিস্টরা কি যথেষ্ট সম্মান পান? পরিচালকের প্রশ্নের পর কী হল দেখুন…