‘প্রতারণার অর্থ কি শুধু যৌন প্রতারণা? আমার কাছে স্পষ্ট নয়’, বিস্ফোরক নীনা

Neena Gupta: ৮০-র দশকে ভিভ, নীনার প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল ফিল্ম এবং ক্রিকেট মহল। তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। একে অপরকে ভালবেসেছিলেন।

‘প্রতারণার অর্থ কি শুধু যৌন প্রতারণা? আমার কাছে স্পষ্ট নয়’, বিস্ফোরক নীনা
নীনা গুপ্তা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 9:10 PM

ঠোঁটকাটা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রি এ ভাবেই চেনে নীনা গুপ্তাকে। নিজের শর্তে জীবন বেঁচেছেন। কেরিয়ারের স্ট্রাগল, একা মায়ের লড়াই- কাউকে পাশে পাননি। ফলে মুখের উপর কথা বলতে তাঁর বাধে না। ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। তাঁরা বিয়ে করেননি। সম্প্রতি পার্টনারের প্রতি অবিশ্বস্ত থাকা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন নীনা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “আমি প্রশ্ন করতে পারি, সম্পর্কে প্রতারণা করা বলতে আপনারা কী বোঝেন? নিজে যে প্রতারিত হচ্ছেন, সেটা প্রত্যেকে প্রতি মুহূর্তে বুঝতে পারেন। কিন্তু স্বীকার করেন না। প্রতারণার অর্থ কি শুধু যৌন প্রতারণা? যদি আপনি কাউকে পছন্দ করেন, তাকে চুমু খাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেটা কি প্রতারণা? আমার কাছে প্রতারণার অর্থ স্পষ্ট নয়।”

৮০-র দশকে ভিভ, নীনার প্রেম, সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল ছিল ফিল্ম এবং ক্রিকেট মহল। তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। একে অপরকে ভালবেসেছিলেন। তাঁদের সন্তান মাসাবা। কিন্তু কখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি ভিভ-নীনা। ভিভ পরে বিয়ে করেছিলেন মিরিয়মকে। অন্যদিকে পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বিবেক মেহেরাকে বিয়ে করেন নীনা।

মাসাবাকে একা হাতে বড় করেছেন নীনা। পাশে পেয়েছিলেন তাঁর বাবাকে। আজ আর সে সব নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “আমি ভিভিয়ানকে ভালবাসতাম। যদি আপনি কাউকে ভালবাসেন, তাকে ওভাবে ঘৃণা করা যায় না। হয়তো একসঙ্গে থাকেন না আর। কিন্তু ঘৃণা করা যায় না। সেটা ধীরে ধীরে বোঝা যায়। আর নিজের মেয়েকে তার বাবার সম্পর্কে খারাপ কথাও বলা যায় না। আমি এটা কখনও করিনি। কেন আমি মেয়ের মন বিষিয়ে তুলব? ভিভের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। ভিভও আমাকে সম্মান করে। ফলে মাসাবা আমাদের দু’জনেই সম্মান করে। বিষয়টা খুব সহজ।”

আগাগোড়া মেয়েকে নিজের কাছে রেখে বড় করেছেন নীনা। মাসাবা বড় হয়ে পেশা হিসেবে ফ্যাশন ডিজাইনিংকে বেছে নেন। তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড রয়েছে। মায়ের কাছে বড় হলেও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মাসাবার। তাঁর বড় হওয়ার নেপথ্যে মায়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল বটে, তবে বাবার পরোক্ষ প্রভাবের কথা কখনও অস্বীকার করেন না তিনি।

কিছুদিন আগেই নিজের আত্মজীবনী ‘সচ কহু তো’ প্রকাশ করেছেন নীনা। সেখানে ব্যক্তিগত জীবন থেকে কেরিয়ারের ওঠা পড়া সবই শেয়ার করেছেন। নাম না করে নিজের কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন তিনি।

নীনাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “৬০ বছরের বৃদ্ধাকে কেউ কাস্টিং কাউচের জন্য ডাকবে না। তাই এখন ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচের কী পরিস্থিতি তা বলার জন্য সঠিক মানুষ আমি নই।”

তবে ইন্ডাস্ট্রিতে যে কাস্টিং কাউচ রয়েছে, অন্তত তাঁর যৌবনে ছিল, সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন নীনা। নতুনদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “প্রত্যেকের জার্নি আলাগা। কেউ যদি অন্য কারও জুতোয় পা গলাতে চায়, তা হলে মুশকিল। আর এখানে বোঝাপড়াও কাজ করে। আমি নতুনদের বলব, মন দিয়ে কাজ করুক। আর বোঝাপড়াটা ঠিক থাকলে বাকি সব কিছুই ঠিক থাকবে।”

আরও পড়ুন, সে দিনের ছোট্ট ‘ভুতু’ ওরফে আরশিয়া, আজ নিজে রান্না করছে!