ভিডিয়ো: ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ বলে ইয়ামিকে ডাকতেই রেগে গেলেন অভিনেত্রী
দিন কয়েক আগেই অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর লস্ট ছবি শুট শেষ করেছেন ইয়ামি। ছবিটিতে কলকাতা জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোত ভাবে।
ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি প্রসাধনী সংস্থার মুখ হয়েই গ্ল্যামার জগতে পা রেখেছিলেন ইয়ামি গৌতম। রাতারাতি পরিচিত হয়েছিলেন ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি গার্ল হিসেবে।” মাঝে সময় কেটে গিয়েছে অনেকটাই। এ বার এক সংবাদমাধ্যমে তাঁকে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি বলে ডাক্তেই রেগে গেলেন অভিনেতা। ভূত পুলিশের প্রমোশনে হাজির হয়েছিলেন ইয়ামি। পরেছিলেন ক্রিম আর সোনালি পাড়ের শাড়ি। সঙ্গে ট্যাঙ্ক টপ ব্লাউজ। কানে ছিল কাশ্মীরি ঝুমকা।
পাপারাৎজির জন্য ইয়ামি যে মুহূর্তে পোজ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই এক ফোটোশিকারি তাঁকে বলে ওঠেন, “এই ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি”। কপট রাগ দেখান তিনি। ‘এয়ি…’ বলে কার্যত চোখে পাকিয়ে তাকান ইয়ামি। যদিও পরমুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে আবারও ছবি তোলায় ফোকাস করেন অভিনেত্রী। ভূত পুলিশ ছবিতে ইয়ামি ছাড়াও দেখতে পারা যাবে সইফ আলি খান ও অর্জুন কাপুরকে। আদপে এটি একটি হরর-কমেডি।
View this post on Instagram
দিন কয়েক আগেই অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর লস্ট ছবি শুট শেষ করেছেন ইয়ামি। ছবিটিতে কলকাতা জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোত ভাবে। শুটিং শেষ করে ইয়ামি লিখেছিলেন, “লস্ট-এর শুটিং শেষ করলাম। এই বিশেষ ছবিটায় কাজ করতে গিয়ে আমার হৃদয়ে বহু মুহূর্ত জমা রয়েছে। এই ছবির সঙ্গে যুক্ত সকল কলাকুশলীকে ধন্যবাদ। যত দিন এগিয়েছে তত তাঁরা আমার পরিবার হয়ে উঠেছেন। টোনিদাকে ধন্যবাদ। আমি যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের মধ্য অন্যতম অসাধারণ একজন পরিচালকই শুধু নন, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। নিখাদ অভিসন্ধি না থাকলে লস্ট-এর মতো ছবি পরিচালনা করা সম্ভব নয়”।
কখনও আবহাওয়া, কখনও বা রিয়েল লোকেশনে শুটিংয়ে জনসমাগম, বহু বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইয়ামি। করোনা পরিস্থিতিতে শুটিং করাও খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু সব সময়ই টিম হিসেবে কাজ করেছেন তাঁরা। অনিরুদ্ধর স্ত্রী ইন্দ্রাণী বাড়িতে তৈরি বাঙালি খাবার খাইয়েছেন অভিনেত্রীকে, সে কারণেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। সিনেম্যাটোগ্রাফার অভীক মুখোপাধ্যায় এবং প্রোডাকশনের টিমের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। ছবিটির একটা বড় অংশের শুট হয়েছে কলকাতা। সে কারণে অগস্টের প্রথম সপ্তাহে শহরে এসেছিলেন তিনি। ধরা পড়েছিলেন টিভিনাইন বাংলার ক্যামেরায়।
এরও কিছু দিন আগে পরিচালক আদিত্য ধরের সঙ্গে হঠাৎ বিয়ে নিয়েও মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। ইয়ামি জানিয়েছিলেন, তিনি এবং আদিত্য চেয়েছিলেন এনগেজমেন্ট সেরে রাখতে। কিন্তু খানিক বাধ্য হয়েই বিয়ে পিঁড়িতে বস্তে হয় তাঁদের, নেপথ্যে ছিল অন্য কারণ। ইয়ামি জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুমা মনে করেছিলেন শুধু এনগেজমেন্ট ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। আর সে কারণেই ঠাকুমাকে খুশি করতেই তাঁরা বিয়ে করে নেন। যদিও তাঁর বিয়ের জন্য এত মানুষ খুশি হয়েছেন, এইটি তাঁর কাছে পরম প্রাপ্তি বলে জানিয়েছেন ইয়ামি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যে বিয়ে করেছেন তা মাঝে মধ্যে নিজেরই বিশ্বাস হয় না তাঁর। কাজ, সংসার নিয়ে বেজায় ব্যস্ত অভিনেত্রী। সঙ্গে রয়েছে, পাপারাৎজির সঙ্গে রাগ, দর্শকের ভালবাসা।
আরও পড়ুন- Sidharth Shukla: আলিয়ার বিপরীতে বলি-ডেবিউ, বচ্চন-ভক্ত সিদ্ধার্থের দীর্ঘ সময় কাটত জিমেই
আরও পড়ুন-‘এবার থেকে কুনজরে বিশ্বাস করব…’, সিদ্ধার্থের অকালমৃত্যু মানতেই পারছেন না ওঁরা!