মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন সারাটা জীবন। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন বাংলার দিদি। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ নন-ফিকশন শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। রবিবার, ৩ মার্চ, রাত ৮টায় সম্প্রচার হয় সেই এপিসোডের। এই প্রথম কোনও নন-ফিকেশন শোতে উপস্থিত হয়েছেন মমতা। টানা দু’ঘণ্টা ধরে চলে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর এই বিশেষ এপিসোড। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ এসে জীবনের নানা কথা বঙ্গবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বারবারই শিল্পের প্রতি সম্মান প্রকাশ পেয়েছে মমতার। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর এই এপিসোডে তাই পুরস্কার হিসেবে দেখা যায়নি আলমারি-ফ্রিজ কিংবা বস্তা-বস্তা চাল- ডাল-তেলের প্যাকেট। বরং উঠে এসেছে গোটা বাংলার শিল্পের টুকরো-টাকরা। প্রতিযোগীরা জিতেছেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডোকরার দুর্গামূর্তি, শঙ্ক, বিষ্ণুপুরের পোড়া মাটির তৈরি ঘোড়া, প্রভৃতি। মমতার সঙ্গে এদিন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ অংশগ্রহণ করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী অরুন্ধতী হোম চৌধুরী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা প্রত্যেক খেলায় এগিয়ে দিয়েছেন তাঁর সহ-প্রতিযোগীদের। শিশুশিল্পী থেকে বয়স্কশিল্পী–বাংলার অধিকাংশ তারকাই দিদিকে কাছে পেয়ে ধন্য। সিনেমার চেয়ে সিরিয়াল দেখতে পছন্দ করেন খুবই। কেবল ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর এপিসোডেই নয়, মমতা এ কথা আগেও বহুবার বলেছেন অন্যান্য অনুষ্ঠানে গিয়ে। এদিন মমতা দিদি এও জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির মেয়েরা কোন সিরিয়াল কিংবা শো দেখতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন।
‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর ফ্লোরে এসেই জয়জয়কার হয় মমতার। তাঁকে দারুণ সুন্দর আপ্যায়ন করেন সঞ্চালিকা এবং অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা তাঁর সহজাত সরলের সঙ্গেই বলেন, “তোমার শোতে আসার জন্য আমিই তো বলেছিলাম। জানো তো আমার বাড়ির মেয়ে-বউরা কেউই ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর একটা এপিসোডও মিস করে না। এটাই ওদের প্রিয় শো। সকলে একসঙ্গে মিলে বসে দেখতে থাকে এই শো। তা দেখে আমার খুব ভাল লাগে।”