অমিতাভ বচ্চনের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেই মুম্বইয়ে গিয়ে জলসায় উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে থেকেই জানা গিয়েছিল, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়েই কথা হবে। জলসা থেকে বেরিয়ে তেমনই খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জলসার সামনে দাঁড়িয়েই সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ”আমার এই প্রথম সুযোগ হল, আমার ভাষায়, ভারতরত্ন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে এসে সাক্ষাৎ করার। অমিতাভজিকে আমি ‘ভারতরত্ন’ নামেই সম্বোধন করি। অমিতাভজি, জয়াজি (জয়া বচ্চন), অভিষেকজি (অভিষেক বচ্চন), ঐশ্বর্য রাই (ঐশ্বর্য রাই বচ্চন), তাঁদের সন্তান আরাধ্যা (আরাধ্যা বচ্চন), অমিতাভজির কন্যা শ্বেতা (শ্বেতা নন্দা) আমরা সবাই এতক্ষণ একসঙ্গেই ছিলাম।”
গল্পের তালিকায় রইল অমিতাভ-জয়ায় কলকাতায় কাটানো দিনের প্রসঙ্গেও। মমতা বললেন, ”অনেক ভাল-ভাল কথা হল। অতীতের অনেক প্রসঙ্গেই কথা হল। অমিতাভজি যখন কলকাতায় নিজের জীবন, পথচলা শুরু করেছিলেন তখনকার কথা… অন্যদিকে জয়াজি, যিনি আমাদের ওখানে (বাংলায়) ‘ধন্যি মেয়ে’ বলে একটি ছবি করেছিলেন, তা নিয়েও কথা হয়। ছবিটা, সেই চরিত্রটা ভীষণ জনপ্রিয়। আমি এই পরিবারটাকে ভীষণ ভালবাসি। আমি মনে করি তাঁরা ভারতের বুকে ১ নম্বর পরিবার।”
গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সুর টেনেই এবারও তিনি ‘ভারতরত্ন’ প্রসঙ্গ তুললেন। বললেন, ”ওনাকে আমি ‘ভারতরত্ন’ই বলে থাকি। আমার হাতে যদি থাকত, তবে এক সেকেন্ডে আমি এই পুরস্কার ওনার হাতে তুলে দিতাম। এটা ওঁর অনেকদিন আগেই পেয়ে যাওয়া উচিত ছিল। যদি ওঁকে না দেওয়া হয়, তবে আমি সাধারণের তরফ থেকে ওঁর হয়ে এই আওয়াজ তুলব। অমিতজি আমাদের ভারতরত্নই। আমরা ওঁকে ভীষণ সম্মান করি। ওঁর পরিবারের বহু অবদান।”
পাশাপাশি নিমন্ত্রণ জানালেন অমিতাভ বচ্চনকে, তাঁর কথায়, ”দুর্গাপুজোয় কলকাতায় আসার জন্য আমি নিমন্ত্রণ জানিয়েছি, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসের জন্য আমিও ওঁকে নিমন্ত্রণ করেছি। অমিতজি না গেলে আমাদের অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। শাহরুখ যাবেন, সলমন যাবেন, অনীল কাপুরও সম্মতি জানিয়েছেন। মহেশ ভাটও এসেছেন। এটা আমাদের ভীষণ বড় ফেস্টিভ্যাল।”