Sandesh Calender: নতুন বছরের নয়া চমক! প্রকাশিত সন্দেশ পত্রিকার প্রচ্ছদ ক্যালেন্ডার…
Sandesh Calender: বিগত চার প্রজন্ম ধরে সন্দেশের প্রচ্ছদও পাল্টাতে-পাল্টাতে গিয়েছে। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ এবং পরবর্তীকে সন্দীপের সময় পাল্টেছে সন্দেশের প্রচ্ছদ রূপ। এই ক্যালেন্ডারে সেই চার প্রজন্মের কাজকেই তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে দ্য ড্রিমার্স মিউজ়িক পিআর এজেন্সির নতুন বছরের ক্যালেন্ডার। তাতে রয়েছে বিখ্যাত এবং নস্ট্যালিয়ায় পরিপূর্ণ শিশু পত্রিকা সন্দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রচ্ছদ। কিন্তু কেন সন্দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে? এর কারণ, এ বছরটি সন্দেশ পত্রিকার ১১০ বছর পূর্তির। ১৯১৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সন্দেশ পত্রিকা। প্রকাশ ছিল ইউ রায় অ্যান্ড সন্স। একে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। উপেন্দ্রকিশোরের দুই পুত্র সুকুমার এবং সুবিময় ছিলেন পত্রিকার অন্যতম অংশীদার। কিন্তু বড়রাও সমানভাবে উপভোগ করেছে সন্দেশকে।
এ দিন সন্দেশের প্রচ্ছদ নির্ভর এই চ্যালেন্ডার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রায় পরিবারের পুত্র সন্দীপ রায়। পত্রিকার পাল্টে যাওয়া রূপ, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্যাচোলনা করেন সন্দীপ, প্রকাশক অমিতানন্দ দাশ এবং বিশিষ্ট আর্কাইভিস্ট দেবজিৎ বন্দোপাধ্যায়। বিশিষ্ট সত্যজিৎ গবেষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, জিনিয়াস কিডসের বিকাশকুমার সিং এবং দ্য ড্রিমার্সের কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দরাও নিজেদের বক্তব্য রাখেন।
মাঝে দু’বার প্রকাশনা বন্ধ ছিল সন্দেশের। একবার ১৯২৯ সালে। পরের বার ১৯৩৪-এ। বহুমুখী প্রতিভা অস্কার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের প্রচেষ্টায় নতুন ভাবে পথ চলতে শুরু করেছিল সন্দেশ। সেটা ছিল সাল ১৯৬১। সেই সময় সন্দেশের সহ সম্পাদক ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায়ের রচিত ছোট গল্পের হাত ধরে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কুর মতো চরিত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে এই সন্দেশ পাতাতেই। বঙ্কুবাবুর বন্ধুর মতো গল্পও প্রকাশ পায় সন্দেশেই। ৯০-এর দশকে এই পত্রিকার সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন সন্দীপ রায়। তাঁর সঙ্গী ছিলেন অমিতানন্দ দাশ।
বিগত চার প্রজন্ম ধরে সন্দেশের প্রচ্ছদও পাল্টাতে-পাল্টাতে গিয়েছে। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, সত্যজিৎ এবং পরবর্তীকে সন্দীপের সময় পাল্টেছে সন্দেশের প্রচ্ছদ রূপ। এই ক্যালেন্ডারে সেই চার প্রজন্মের কাজকেই তুলে ধরা হয়েছে।
ক্যালেন্ডার সম্পর্কে সন্দীপ রায় বলেছেন, “এটা একটা খুবই ভালো উদ্যোগ। ছোটোদের পত্রিকা বলতে সন্দেশের কথা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। দিকপাল সব লেখকদের কাজ আছে এই পত্রিকায়। এই পত্রিকা ১১০ বছর ধরে চলছে।”