গ্যাংস্টারের হুমকি পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র! জানেন কী করেছিলেন বলিউডের ‘হিম্যান’?
কিন্তু ধর্মেন্দ্র কিন্তু প্রথম থেকেই নিজেই অ্য়াকশন করতেন। আজকের নায়করা পেশি ফুলিয়ে দর্শকদের আকর্ষণ করেন। কিন্তু এই ট্রেন্ড শুরু করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। যাঁকে পারফেক্ট পাঞ্জাবের গবড়ু জওয়ান, ধর্মেন্দ্র ছিলেন একেবারে তাই। সেই ধর্মেন্দ্রই কুখ্য়াত এক গ্য়াংস্টারকে জব্দ করেছিলেন। সোজা ফোন করে বলেছিলেন, ''আমাকে ভয় দেখিও না। বিপদে পড়ে যাবে।''

ধর্মেন্দ্রকে বলিউডের হিম্যান বলেই সম্বোধন করা হয়। ইদানিং বেশিরভাগ নায়করাই অ্য়াকশন দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় স্টান্টম্য়ানের পরিবর্তে নিজেরাই অভিনয় করে থাকেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্র কিন্তু প্রথম থেকেই নিজেই অ্য়াকশন করতেন। আজকের নায়করা পেশি ফুলিয়ে দর্শকদের আকর্ষণ করেন। কিন্তু এই ট্রেন্ড শুরু করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। যাঁকে পারফেক্ট পাঞ্জাবের গবড়ু জওয়ান, ধর্মেন্দ্র ছিলেন একেবারে তাই। সেই ধর্মেন্দ্রই কুখ্য়াত এক গ্য়াংস্টারকে জব্দ করেছিলেন। সোজা ফোন করে বলেছিলেন, ”আমাকে ভয় দেখিও না। বিপদে পড়ে যাবে।”
ঠিক কী ঘটেছিল ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে?
সময়টা সত্তর দশকের শেষের দিকে। সেই সময় বলিউডে গ্যাংস্টারের কথায় প্রযোজক, পরিচালক, এমনকী, এক নম্বর নায়ক-নায়িকারা ওঠা-বসা করেন। শোনা যায়, গ্য়াংস্টারের এক ফোনেই যেকোনও নায়ক, যে কোনও নায়িকা মুম্বই থেকে সোজা গ্যাংস্টারদের পার্টিতে দুবাইয়ে হাজির হতেন। গ্যাংস্টারদের নানা হুমকির ভয়ে একেবারে তটস্থ হয়ে থাকতেন বলিউডের দাপুটে অভিনেতারা। এরমই এক হুমকি ফোন পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্রও। তবে গ্যাংস্টারদের ভয়ে তিনি গুটিয়ে যাননি। বরং পাল্টা দিয়েছিলেন গ্য়াংস্টারদের।
গ্যাংস্টাররা ফোন করে ধর্মেন্দ্রকে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিয়েছিলেন। কেননা, অন্ধকার জগতের পার্টিতে যেতে মানা করেছিলেন অভিনেতা। গ্যাংস্টাররা ধর্মেন্দ্রকে হুমকি দেওয়ার পর, ফোনেই অভিনেতা বলেছিলেন, তুমি আমাকে নিয়ে যেতে ১০ জনকে পাঠাবে। আর আমি একটা ফোন করলে পাঞ্জাব থেকে হাজার লোক চলে আসবে তোমাদের আটকাতে। তাই সাবধান! আমার পিছনে লাগলে তোমরাই বিপদে পড়বে।
ধর্মেন্দ্রর মুখে এমন কথা শোনার পর আর একবারও গ্যাংস্টাররা বিরক্ত করেননি তাঁকে। এর থেকেই বোঝা যায়, বলিউডের তাঁর হিম্যান তকমা কতটা স্বার্থক।
