মৃত্যুর আগে সানি দেওলের কোন ছবি দেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র, জানেন?
হেমা লিখেছেন, একসঙ্গে না থাকলেও, কীভাবে ধর্মেন্দ্র তাঁর ভাল-খারাপ সময়ের সঙ্গী হয়েছিলেন। তবে এবার দেওল পরিবারের কেউ নন, বরং প্রিয় নায়ককে নিয়ে এক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান। আমির জানালেন, মৃত্যুর বেশ কয়েকদিন আগে সানি দেওলের কোন ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।

ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু যেন রহস্য ঘেরা। কেন তাঁকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন না তাঁর অনুরাগীরা তা নিয়ে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ছে দেওল পরিবার। কিন্তু ধর্মেন্দ্রর দুই ছেলে সানি ও ববি একেবারে চুপ। বলিউডের হিম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী অবশ্য মুখ খুলেছেন। সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে তাঁর আবেগের কথা। হেমা লিখেছেন, একসঙ্গে না থাকলেও, কীভাবে ধর্মেন্দ্র তাঁর ভাল-খারাপ সময়ের সঙ্গী হয়েছিলেন। তবে এবার দেওল পরিবারের কেউ নন, বরং প্রিয় নায়ককে নিয়ে এক তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান। আমির জানালেন, মৃত্যুর বেশ কয়েকদিন আগে সানি দেওলের কোন ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
সানি দেওল হলেন ধর্মেন্দ্রর বড় ছেলে। ছোট হলেন ববি। প্রথম থেকেই ধরমজি চেয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলেই তাঁর মতো অভিনয়ে পা রাখুন। সানি দেওলের প্রথম ছবি বেতাব। যা আশির দশকে হইচই ফেলে দিয়েছিল। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে প্রথম দিকে সানি জনপ্রিয় হলেও, পরে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের পর্দার অ্যাকশন হিরো। ছোট ছেলে ববি দেওলের প্রথম ছবি বরসাত। সেটিও রোমান্টিক। শোনা যায়, দুই ছেলের প্রায় প্রত্যেকটি ছবিই দেখেছেন ধর্মেন্দ্র। ছবি দেখার মতো ছেলেদের সঙ্গে নিজের ভাবনাও শেয়ার করতেন। তবে শেষ দেখা ছবি নিয়ে সানিকে নিজের মতামত জানানোর সময় পেলেন না ধরমজি।
আমির খানের প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে তৈরি হয়েছে ছবি লাহোর ১৯৪৭। এই ছবিতে মূল ভূমিকায় দেখা যাবে সানি দেলওকে। পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর এই ছবির গল্পের আধার দেশভাগ। ছবি এখন মুক্তির প্রতীক্ষায়।
আমির খান জানালেন, মৃত্যুর আগে ধর্মেন্দ্রর শেষ দেখা ছবিই হল সানি দেওল অভিনীত লাহোর ১৯৪৭। আমির খান বলেন, আমার ও সানির দুজনেই খুব লাকি যে ধরমজিকে এই ছবিটা দেখাতে পেরেছিলাম। কেননা, এই ছবিটা তৈরি করার সময় আলাদা করে আমি আর সানি ধরমজির সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। ওঁর খুবই পছন্দ হয়েছিল এই ছবির চিত্রনাট্য। শুধু তাই নয়, উনি এই ছবিতে অভিনয় করতেও চেয়েছিলেন। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। যদি এই ছবিতে তাঁকে পেতাম, তাহলে তো ছবিটা আরও পাওয়ারফুল হতো।
২৭ তারিখ ধর্মেন্দ্রর মুম্বইয়ের বাড়িতেই স্মরণসভার আয়োজন করেছিল তাঁর পরিবারের লোকজন। বলিউডের বহু মানুষেরা এসেছিলেন ধর্মেন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে। তবে মুম্বইয়ের বাইরে থাকার কারণে সেই স্মরণসভায় অংশ নিতে পারেননি আমির।
