সাবা আলি খানকে চেনেন? হঠাৎ করে বললে হয়তো নাও চিনতে পারেন। তিনি আর কেউ নন। শর্মিলা ঠাকুরের বড় মেয়ে, দ্বিতীয় সন্তান। গায়ে বইছে রাজরক্ত। এত বছর কেটে গেলেও আজও কেন অন্তরালে তিনি? কী বা পেশা তাঁর? তাঁর দুই ভাই বোন সইফ আলি খান ও সোহা আলি খানকে নিয়েই কেন এত মাতামাতি। কেন শর্মিলা কন্যা এড়িয়ে চলেন লাইমলাইট? অভিনয় জগতে তিনি আসেননি।
লকডাউনের সময় থেকে হঠাৎ করেই ইনস্টাগ্রামে আত্মপ্রকাশ তাঁর। প্রথম থেকেই পরিবারের নানা অদেখা ছবি শেয়ার করতে দেখা যেত তাঁকে। ফলত হুড়হুড় করে বাড়তে থাকে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সকলের মন জয় করে ফেলেন তিনি। ছবি তুলতে বহু ছেলেবেলা থেকেই ভালবাসতেন তিনি। ওটিই ছিল তাঁর প্যাশন। একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সেই ৭-৮ বছর থেকে এই ভালবাসা তৈরি হয়েছিল আমার। যত বড় হয়েছি তা পেশাগত ভাবে করতে শুরু করেছিলাম। বাড়ির লোকও আমার এই ভাললাগাকে বিশেষভাবে উৎসাহ দিয়েছে।”
কেন আড়ালে থাকেন সে ব্যাপারেও নিজস্ব যুক্তি রয়েছে সাবার। তাঁর কথায়, “আমি ওদের থেকে অনেক শান্ত। মেজো সন্তান হওয়ায় আমি অনেক বেশি ধীরস্থির। দাদা আর বোন অনেকটা এরকম। আমি কোনওদিনই ফিল্মস্টার হতে চাইনি। আমার স্পটলাইটেও দরকার নেই।” তিনি আরও যোগ করেছিলেন, “আমার মনে হয় না সব সময় নিজেকে পাপারাৎজির কাছে হাজির করার দরকার আছে বলে। আমি সবসময় তা করি না। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান এলে তবেই করি।” সাবার আরও গুণ রয়েছে। তিনি ট্যারো কার্ড পড়তে পারেন। এ ছাড়াও ধর্মের প্রতিও বিশেষ অনুরাগ রয়েছে তাঁর। মাঝেমধ্যেই ইসলাম নিয়ে উপলব্ধির কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
সইফ ও সোহার সঙ্গে কিন্তু বেশ ভাল সম্পর্ক তাঁর। তবে মায়ের সঙ্গে দিল্লিতেই থাকেন সাবা। নিজে ফিল্মস্টার হননি বলে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। নিজেরই অকপট স্বীকারোক্তি, “আমার মনে হয় আমার সেই যোগ্যতা নেই আমি আসলে ভীষণ লাজুক। নিজের ঘরে নাচতে- গাইতে ভাল লাগে আমার।”