ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রথম হিরো ছিলেন তিনি। তাঁর কথা বহু সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন ঋতুপর্ণা। তিনি অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রভাত রায়ের পরিচালনায় তৈরি ‘শ্বেত পাথরের থালা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ভাস্কর। তাঁকে কাস্ট করা হয়েছিল অপর্ণা সেনের ছেলের চরিত্রে। তারপর ৯০-এর দশকের বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন ভাস্কর। এখন তিনি লাগাতারভাবে কাজ করছেন বাংলা সিরিয়ালের। কখনও ভাল বাবা, কখনও ভাল কাকা! পর্দায় তাঁকে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যায় না কখনও। এই মুহূর্তে তিনি অভিনয় করছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থার তৈরি ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’ ধারাবাহিকে নায়কের বাবার চরিত্রে। এই ভাস্করকে একটা সময় দৈন্যদশা কাটাতে হয়েছিল।
এক সাক্ষাৎকারে ভাস্কর বলেছিলেন, “সময়টা ভাল যাচ্ছিল না আমার। কাজের অভাব দেখা দিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই সময় আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ১১ মাস হাতে কোনও কাজ ছিল না আমার। কিন্তু সেই প্রতিকূলতা পেরিয়ে এসেছি আমি। অভিনয় পেশা নিশ্চিত নয়। এই পেশায় নানা ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। আমারও হয়েছে। এখন আর সেই প্রতিকূলতা নেই আমার জীবনে। নিজেকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছি আমি।”
ভাস্কর স্বীকার করে নিয়েছিলেন তাঁর চেহারা নায়কসুলভ নয়। ফলে ‘শ্বেত পাথরের থালা’-এ নায়কের চরিত্রে অভিনয় করলেও আগামী দিনে তাঁকে খুব দমদার নায়ক হিসেবে দেখেননি বাংলার বিনোদন জগৎ। তবে তাঁকে অনেকে উত্তমকুমারের সঙ্গে তুলনা করেন। সকলে বলেন, উত্তমকুমারের ছাপ রয়েছে ভাস্বরের শরীরে। বাচনভঙ্গিতে তো বটেই, অভিনেতার তাকানো, হাঁটার স্টাইলে উত্তমকুমার যেন জীবন্ত!