একসপ্তাহ হল মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন প্রেমের কাহিনী ‘কিশমিশ।’ টিনটিন আর রোহিনীর প্রেমের গল্প এখন দর্শকের মুখে মুখে। মুক্তির পর এখনও ছবির প্রচার জারি। Tv9 বাংলার মুখোমুখি দেব।
ঝুলিতে একের পর এক হিট, আপনি কি তবে ক্লাউড নাইনে?
(একটু হাসি) আমি এখন TV9 বাংলায় আছি। এটা সত্যিই ভাল লাগছে ভেবে, আমরা এতদিন প্রচারের সময় বলেছি, ছবিটি প্লিজ দেখতে আসবেন। নতুনভাবে কিছু করেছি। আর আজ যখন সবাই আসছে, ‘কিশমিশ’ কে ভাল বলছে, তা শুনেও ভাল লাগছে। সাফল্য আমার কাছে আরও বড় এক দায়িত্ব বয়ে নিয়ে আসে।
মুম্বইয়ে অনেক অভিনেতাই নিজেদের অভিনীত ছবি দেখেন না। আপনি দেখেন নিজের অভিনয় করা সিনেমা হলে বসে?
প্রযোজক হিসেবে আমাকে একশোবার দেখতে হয়। একটা ছবি তৈরি করতে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। এডিটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এমন অনেক কিছু। সেইসব কিছু লক করতে গিয়ে আমাকে অনেকবারই দেখতে হয় ছবিটা। সেখানে অভিনয়ে কোনও ভুল থাকলে আবার করে করা সম্ভব নয়। তার মধ্যে শুধু এটাই মাথায় থাকে কীভাবে ছবিটাকে ভাল বানাব।
প্রযোজক দেবের বয়স হতে চলল পাঁচ বছর। পরপর হিটের পর এখন কি তবে নিজেকে সফল প্রযোজক হিসেবে ভাবতে পারেন?
না,এটা একরকম পরিশ্রম। যেদিন অবসর নেব সেদিন ভাবব ‘সাকসেস’-এর কথা। এখন প্রক্রিয়াটা চলছে। লোহা যখন গরম থাকে তখন তা জানে না, কী আকার নেবে। তেমনই আমিও যখন অবসর নেব, তখন ভাবব আমি সফল হলাম কী হলাম না।
আপনি কি প্রেমের গল্প মিস করছিলেন অনেকদিন?
আমি সবসময় চেষ্টা করি বিভিন্ন রকমের ছবি করার। বিভিন্ন ছবিতে নানারকম ভাবে আমাকে পেয়েছে দর্শক। আমার একটাই চেষ্টা নতুনভাবে কেমন করে গল্প বলা যায়। তাই গল্পটা শুনেই আমার মনে হল যে এটা হওয়া উচিৎ। খুব সহজেই আমরা বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। পরিণত প্রেমের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছি।
ছবিতে প্রচ্ছন্ন রাজনীতি দেখা গিয়েছে, এটা কি বুঝেশুনে নেওয়া সিদ্ধান্ত?
এখানে কাউকে অসম্মান জানাতে চাইনি। আমি শুধু রিয়্যাল লাইফের চরিত্রগুলোকে তুলে ধরতে চেয়েছি। অনেকেই আছে যাঁরা ‘দিদি’-কে সত্যিই পুজো করেন। আবার তা দেখে তাঁর পরিবারের লোক হয়তো রেগে যায়। খুব সাধারণভাবে বোঝাতে চেয়েছি রাজনীতি-রাজনীতির জায়গায়। আমি কী দলের সঙ্গে যুক্ত,সেটা আমার পরিচয় নয়, আমি কী ব্যবহার করছি সেটা আমার পরিচয় হতে পারে। আমি মঞ্চে উঠেও এই কথাই বোঝানোর চেষ্টা করি। নিজের দলের হয়ে যখন প্রচারে যাই তখন এই কথাটাই বলি, বড় বড় নেতারা তারা ঠিক নিজেদের সেটিং করে নেবে। কখনও এ দলে তো কখনও অন্য দলে। কিন্তু যারা গ্রাসরুট লেভেলে রাজনীতি করেন, তাঁদের সত্যিই অসুবিধা। তাঁরা এমন শত্রুতা তৈরি করে নেয়, যা সুস্থ পরিবেশ তৈরি করে না। এটাই বার্তা, নেতাদের কাজ মানুষকে লড়ানো নয়, তাঁদের বাঁচানো। আমি সেটাই চেষ্টা করছি মানুষ রাজনীতির মধ্যে থেকেও ভালবেসে যেন থাকে।