বাবার মৃত্যুর কয়েকদিন মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি সক্রিয়! নেটিজেনের কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন গওহর
তাঁর কথায়, মানুষ ইদানিং বড্ড বেশি জাজমেন্টাল। নেটিজেনের কাছে তাঁর প্রশ্ন, "আপনারা আদপে বুঝতে পারেন যে প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা আদপে কী হতে পারে?"
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনের কটাক্ষের মুখে পড়লেন গওহর খান। বাবাকে হারানোর কিছু দিনের মধ্যেই কী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এতটা অ্যাক্টিভ হয়ে পড়লেন তিনি, সে বিষয়ে নেটিজেন প্রশ্ন করলেন গওহরকে। গওহরও চুপ রইলেন না, ট্রোলের জবাব দিলেন এক এক করে।
তাঁর কথায়, মানুষ ইদানিং বড্ড বেশি জাজমেন্টাল। নেটিজেনের কাছে তাঁর প্রশ্ন, “আপনারা আদপে বুঝতে পারেন যে প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা আদপে কী হতে পারে?” পাশাপাশি ইসলামের প্রসঙ্গ টেনে এনে গওহরের বক্তব্য, “ইসলাম অনুযায়ী তুমি তিন দিনের বেশি শোকপ্রকাশ করতে পার না। তোমায় এগিয়ে যেতে হবে। নিজের জীবন নতুন করে শুরু করতে হবে। যে মানুষটি তোমায় ভালবাসত সেই মানুষটির ভালবাসাকে সঙ্গে করেই বাঁচতে হবে তোমাকে। ” তাঁর কড়া বার্তা, “তাই তোমাদের এই সব জাজমেন্ট নিজেদের কাছে রাখ। নিজে বাঁচ, অন্যকে বাঁচতে দাও।”
View this post on Instagram
তবে শুধু যে ভিডিয়ো পোস্ট নিয়ে ট্রোলের মুখে পড়েছেন গওহর এমনটা নয়। সম্প্রতি গওহরের কাছে বন্ধু হিনা খানের বাবা আচমকাই হৃদরোগে প্রয়াত হয়েছেন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গওহর কোনও পোস্ট না করায় কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। ওইসব লোকদের সরাসরি নির্লজ্জ আখ্যা দিয়ে গওহর বলেন, “একটু লজ্জা পাও। আমি জানি আমি কী করেছি, কী না করেছি। তোমাদের মতো মানুষ যাঁদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ই সব তাদেরকে প্রমাণ দেওয়ার জন্য আমায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শোক জাহির করতে হবে? আমার জনতাকে প্রমাণ করার কিছু নেই। যা মনে হয়েছে, তা সেই মানুষটিকে গিয়ে বলেছি।”
আরও পড়ুন- করোনা কাড়ল জীবনের সুর, প্রয়াত আইকনিক ‘নদিম-শ্রবণ’ জুটির শ্রবণ রাঠোর
গত মাসের ৫ তারিখ মারা যান গওহর খানের বাবা। বাবার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে গওহর লিখেছিলেন, “আমার হিরো। তোমার মতো কেউ হতে পারবে না। আমার বাবা মারা গেলেন। তাঁর এই চলে যাওয়া তাঁর জীবনের সুন্দর দলিল হয়ে রয়ে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল কত সুন্দর মানুষ ছিলেন তিনি। আমি অনেকটা তোমারই মতো বাবা। যদিও তোমার মতো ছিটেফোঁটাও হতে পারব না কোনও দিন। তোমায় খুব ভালবাসি পাপা, খুব।” শোকপ্রকাশ করেছিলেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও। তালিকায় ছিলেন হিনা খানও। এক মাসের মধ্যে পিতৃহারা হলেন হিনা নিজেও।