কাকে ভালবেসে প্রেমের গান ধরতেন হৈমন্তী শুক্লা? গায়িকা নিজেই জানালেন…
Haimanti Shukla: এহেন কিংবদন্তিদের ব্যক্তিজীবন বর্তমান সেলিব্রিটিদের মতো খোলামেলা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট তখন কোথায়? ফলে তাঁদের জীবনের অনেক অংশই আজও দর্শক মনে রহস্য হয়েই রয়েছে।

১৯৭২ সালে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল তাঁর। ২০২৪-এ এসেও সমানতালে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তিনি অর্থাৎ হৈমন্তী শুক্লা। এক গান হাসি, কপালে বড় টিপ মানুষটাকে ভালবাসার সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর তিনি? আজীবন সংসারী না হওয়ার মানুষটার জীবনে কি কোনওদিন এসেছিল প্রেম? এসেছিলেন প্রেমিক? দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে জীবনের নানা কথা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী। বরাবরই তাঁদের নিয়ে সাধারণের মনে এক প্রশ্ন থেকে যায়। এহেন কিংবদন্তিদের ব্যক্তিজীবন বর্তমান সেলিব্রিটিদের মতো খোলামেলা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট তখন কোথায়? ফলে তাঁদের জীবনের অনেক অংশই আজও দর্শক মনে রহস্য হয়েই রয়েছে।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা। এঁদের অনেকেই তাঁকে ডাকেন মা বলে। কে বলেছে জন্ম দিলেই মা হওয়া যায়? তা মিথ্যে প্রমাণ করেছেন গায়িকা নিজেই। এ তো গেল বিয়ে-সন্তানের কথা। আর প্রেম? তাও কি কোনওদিন আসেনি তাঁর জীবনে? হৈমন্তী জানিয়েছেন তাঁর প্রেমিকের কথা। তিনি বলেছিলেন, “কেউ হয়তো ভালবেসেছে। আমি বুঝতে পারিনি। অনেকেই আমায় জিজ্ঞাসা করেন, তুমি এত ভালবাসার গানগুলো কাকে ভেবে গাও? আমি তখন উত্তর দিই ওই মাইক্রোফোনটাই আমার প্রেমিক হয়ে যায় তখন।” তাঁর কথা খিলখিল করে হেসে ফেলেন রচনাও। আসলে তিনি মানুষটা যে এমনই– সহজ, সরল, সাদামাঠা।
