জয়িতা চন্দ্র
২০২৪, বছরের শুরু থেকেই খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল তারকা জুটি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজ। বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে নতুন সংসার, দ্বিতীয়বার বাবা হওয়া থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দানে কটাক্ষ, ভালমন্দ মিলিয়ে বছর শেষেও তাঁরা খবরে। তর্ক, বিতর্ক, সমালোচনার ভিড়ে নিত্যদিন নিশানায় ছিলেন তাঁরা। যদিও জুটির ঠোঁটের হাসি কখনও ম্লান হয়নি। গিয়েছে প্রতিটা আনন্দ অনুষ্ঠানে। সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের বিশেষ মুহূর্তগুলো। কেউ কটাক্ষ করলে, পাল্টা হাসি মুখে উত্তর দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক। অপেক্ষা করেছেন সময়ের। ঠিক-ভুলের বিচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখে কেবলই চেয়েছেন সব ভুলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে, তাই বছর শেষে TV9 বাংলাকে হাসিমুখে কাঞ্চন মল্লিক বললেন, ‘এটা আমার ধৈর্য্যের বছর’।
অভিমান বুকে নিয়ে কাঞ্চন বললেন, “আমি একটা কথাই বলতে চাই তাঁদের (যাঁরা কটাক্ষ করে গেলেন বছরভর) উদ্দেশে, ঈশ্বর যেন তাঁদের মঙ্গল করেন, আমি সকলের ভাল চাই। আমি চাই ২০২৫ যেন সকলের শুভ হয়। কৃষভি-শ্রীময়ীকে নিয়ে আমি যেন সুস্থভাবে কাটাতে পারি। সত্যি কথা বলতে অনুপম রায়ের গান ধার করে বলতে চাই, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও…। দয়া করে। সকলেরই তো ব্যক্তিজীবন আছে, সেখানে ওঠাপড়া, লড়াই সবটাই রয়েছে। আমি যেমন কারও প্রতিকূলতায় কাউকে আক্রমণ করিনি, তাঁরাও যেন আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত না হয়ে ওঠেন। আমার জীবন, আমি ঠিক কাটিয়ে নিতে পারব। অন্যদের ব্যস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁরা সুখে থাকুক।”
প্রায় একবছর সংসার হতে চলল, নতুন বছরে শ্রীময়ীর উদ্দেশ্যে কী বললেন?
শ্রীময়ীর বিষয়টা সত্যি আলাদা। অনেক সহ্য করেছে ও। কিন্তু ওই সাপোর্টটা যদি না দিত আমায়, আমার পাশে প্রতিটা মুহূর্তে যেভাবে ছিল, সেটা অকল্পনীয়। ওটা না থাকলে বোধহয় আমি এতটা পথ এই প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে পারতাম না। ছায়াসঙ্গীর মতো সবসময় আমার পাশে থেকেছে। সুখে-দুখে। বিপদেই তো মানুষ চেনা যায়। ২০২৪-এ আমি প্রচুর মানুষ চিনলাম। বন্ধু-আত্মীয় অনেককেই চিনলাম। তাঁরা যেন ভাল থাকেন এই প্রার্থনা করব। শ্রীময়ী বলতে চাই, জীবন যাই হোক না কেন, তুমি তো আমায় সব থেকে ভাল চেনো, পাশে থেকো, কৃষভির হাতটা ধরে রেখো, আমি ছিলাম, আছি, থাকব।