‘প্রচারে এসো না, মহিলারা রিয়্যাক্ট করছে’, কল্যাণের নির্দেশে পাল্টা জবাব ‘অপমানিত’ কাঞ্চনের

Sucharita De | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Apr 25, 2024 | 5:37 PM

Kanchan Mullick: আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচার ও জনসংযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চন বের হতেই ঘটে গেল এক কাণ্ড। হুডখোলা জিপ থেকে কার্যত নামিয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ককে। দুঁদে রাজনীতিবিদ কল্যাণ বললেন, “আমি তো তোমায় আগের দিনই বললাম গ্রামে এসো না, রিয়্যাক্ট করছেন মহিলারা।” সাংসদের কথা মতো পরক্ষণেই গাড়ি থেকে নেমে গেলেন কাঞ্চন।

প্রচারে এসো না, মহিলারা রিয়্যাক্ট করছে, কল্যাণের নির্দেশে পাল্টা জবাব অপমানিত কাঞ্চনের
গ্রাফিক্স-- অভিজিৎ বিশ্বাস

Follow Us

চলতি লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এযাবৎ প্রচার করতে দেখা যাচ্ছিল উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। কখনও পথে ঘাটে নেমে আবার কখনও বা দলীয় কার্যালয় থেকে শেয়ার করছিলেন একের পর এক ছবি। তবে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট প্রচার ও জনসংযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাঞ্চন বের হতেই ঘটে গেল এক কাণ্ড। হুডখোলা জিপ থেকে কার্যত নামিয়ে দিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ককে। দুঁদে রাজনীতিবিদ কল্যাণ বললেন, “আমি তো তোমায় আগের দিনই বললাম গ্রামে এসো না, রিয়্যাক্ট করছেন মহিলারা।” সাংসদের কথা মতো পরক্ষণেই গাড়ি থেকে নেমে গেলেন কাঞ্চন।

এ নিয়ে যখন চতুর্দিকে হইচই, তখন TV9 Bangla-কে কী বললেন কাঞ্চন? তাঁর কথায়, “আমি বুঝতে পারিনি, গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে এর আগেও তো কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের লোকেরা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে।’ আমিও চলে এসেছি। জানি না তিনি কেন চাননি, হয়তো তাঁর প্রচারের আলাদা কোনও স্ট্র্যাটেজি আছে তাই এমনটা বলেছেন।”

এ যাবৎ কল্যাণের সঙ্গেই পায়ে পা মিলিয়ে প্রচারে দেখা গিয়ছে তাঁকে। বাকিদিনগুলোতে তবে কি আর দেখা যাবে না কাঞ্চনকে? বিধায়কের সোজাসাপটা উত্তর, “আমি তো প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তারপর তৃণমূলের বিধায়ক। দলের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার তো। তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক, আমাকে প্রচারে যেতে হবে। প্রচার তো আমাকে করতে হবে। কল্যাণদা একজন সিনিয়র মানুষ। তাই উনি যেটা করেছেন যেটা বলেছেন সেটা উনিই জানেন। উনি বলছে মহিলারা রি-অ্যাক্ট করবেন, কিন্তু কেন রি-অ্যাক্ট করবেন সেটাই তো বুঝছি না। এই তো চৈত্র সংক্রান্তিতেও আমার একটা শো ছিল, সেখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ ছিলেন। সেখানেও তো কোনও বিক্ষোভ দেখতে পারিনি। মহিলাকেন্দ্রিক সেই শো-য়ে কেউই রি-অ্যাক্ট করেনি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করব। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব যা বলবেন সেটাই করব।”

কাঞ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তিন বার বিয়ে, বয়সে প্রায় ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে সংসার নিয়ে কম কটাক্ষ হয়নি। কিছু দিন আগেই রিসেপশনের এক প্ল্যাকার্ডকে ঘিরেও হয়েছিল আলোচনা। তাঁদের রিসেপশন ভেন্যুতে ঢোকার মুখেই বড় প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: “Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted”, যার বাংলা অনুবাদ করলে হয়, “প্লিজ়! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…।” এই প্ল্যাকার্ড দেখেই রেগে যান নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। পরে যদিও ক্ষমা চাইতেও দেখা যায় তাঁকে।

 

Next Article