সেন্সরের খাঁড়া ঝুলছে অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতের সিনেমা ‘এমার্জেন্সি’র উপরে। কঙ্গনা রানাউত, অনুপম খের ও শ্রেয়স তালপাড়ে অভিনীত এই সিনেমা ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার উপরে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মুক্তির আগেই শিখ সম্প্রদায়ের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, এই সিনেমায় শিখ সম্প্রদায়কে নীচু করে দেখানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেও জানা গিয়েছে, স্পর্শকাতর বিষয়ের উপরে সিনেমাটি তৈরি। ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত লাগতে পারে, এই আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, ‘ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রানাওয়াত বললেন, আমি জানি আমি কীভাবে এই ছবি বানিয়েছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোনও সাহায্যই পাইনি। অনেক টাকা খরচ করে ছবিটা বানিয়েছি। জি ও অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গে ছবিটা বানিয়েছি। এই অবস্থায় মুক্তি পিছিয়ে গেলে প্রতিটা মানুষের ব্যপক ক্ষতি হবে। প্রতিটা মানুষকে এ ক্ষতি বহন করতে হবে। আমার মনে হয় সেন্সর বোর্ডের এই ছবির মুক্তি প্রসঙ্গে হস্তক্ষেপ করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, ১৯ সেপ্টেম্বর বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি কোলাবাওয়ালা ও বিচারপতি ফিরদৌস পুনিওয়ালার বেঞ্চের তরফে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC)-কে বলা হয় যে সিনেমার মুক্তি আটকানোর এই ট্রেন্ড বন্ধ হওয়া দরকার। সিবিএফসি যেন শাসক দলের হয়ে কাজ করছে।
জ়ি স্টুডিয়োর তরফে হাজির আইনজীবী ভেঙ্কটেশ ধুন্দ আদালতে জানান, সিবিএফসি ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তির তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে যাতে হরিয়ানা নির্বাচনের পর সিনেমাটি মুক্তি পায়। আইনজীবী বলেন, “এই সিনেমার সহ-প্রযোজক একজন বিজেপি সাংসদ। নিজের দলের সদস্যই যাতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত না করে, তাই চায় ওরা (বিজেপি)। সেই কারণে সার্টিফিকেট নিয়ে এত টালবাহানা।”