TV9বাংলা ডিজিটাল: হাতে মেহেন্দির রঙ এখনও স্পষ্ট। চওড়া সিঁথির লাল রঙ জানান দিচ্ছে অনুরাগের নতুন পরশ। আগুনরঙা লাল সালোয়ার আর হাত ভর্তি চুড়ায় এ ভাবেই স্বামী রোহনপ্রীতের সঙ্গে প্রথম বার করওয়া চৌথ (karwa chauth 2020) করলেন গায়িকা নেহা কক্কর। (Neha Kakkar)
অন্য দিকে টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ নীতি টেলরেরও এটি প্রথম করওয়া চৌথ। বিশেষ দিনে স্বামী-সোহাগে নেহার মতো ভাসলেন তিনিও। সারা দিন উপোস করা স্ত্রীকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলেন ‘হাবি স্পেশাল ওটস’। (Niti Taylor)
নেহা পরেছিলেন লাল রঙা সালোয়ার। কপালে ছোট্ট টিপ। দু’হাত ভরেছে চুড়ায়। স্ত্রী-র সঙ্গে রংমিলান্তি স্বামী রোহনেরও। কখনও নেহার গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন রোহন আবার কখনও বা জাপটে ধরে স্ত্রীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হচ্ছেন। সারা দিন উপোস করে চাঁদ আর প্রিয়কে একই সঙ্গে দেখে ব্রত ভেঙেছেন নেহা।
নেহার দু’মাস আগেই অগস্টের ১৩ তারিখই বয়ফ্রেন্ড পরীক্ষিত বাওয়া সঙ্গে বিয়েটা চুপিচুপি সেরে ফেলেছিলেন নীতি। প্রথম করওয়া চৌথ নিয়ে সকাল থেকেই একটু চাপেই ছিলেন তিনি। সারাদিন উপোস করতে হবে। সে কথা নিজেই লিখেছেন ইনস্টাগ্রামে। কিন্তু ওই যে, ভালবাসায় কী না হয়। চাপ কাটিয়ে স্বামীর হাতেই স্পেশাল ওটস করওয়া চৌথ প্রাপ্তি তাঁর।
বিয়ে হয়েছে বছর দুই। প্রেম গাঢ় হয়েছে আরও। প্রিন্স নারুলা এবং যুবিকা চৌধুরীরও এ বারের করওয়া চৌথ কেটেছে বেশ আনন্দেই। যুবিকার জন্য মনে মনে স্পেশাল সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছিলেন প্রিন্স তা বুঝতেই পারেননি তিনি। স্ত্রীকে গিফট করেছেন বড়সড় এক ডায়মন্ড রিং। আপ্লুত যুবিকা ইনস্টাতে সেই আংটি পরে হাসিমুখে পোস্ট দিয়েছেন, “কী ভাবে বুঝতে পারলে প্রিন্স ওই আংটিটা আমার পছন্দ হয়েছিল? আমাদের বিয়ে দুই বছর এ বার পালন করতে পারিনি। কিন্তু তুমি এই দিনটা স্পেশাল করে দিলে। এর চেয়ে বেশি আর কী বা চাইতে পারি বল?”
পর্দায় তাঁদের খুনসুটি প্রিয় আট থেকে আশির। বলিপাড়ার অন্যতম হ্যাপেনিং জোড়ি হর্ষ এবং ভারতী। প্রিয় হর্ষের মঙ্গলকামনায় ভারতীও পালন করেছেন করওয়া চৌথ। সিনেমা-শুটিং-ব্যস্ত শিডিউল বাদ রেখে ওই দিনটা শুধু তাঁদের, তাঁদের প্রেমের উদযাপন।
কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে? আর পুরনো প্রেম? সে-ও কি তাই? বাঙালি মেয়ে দেবীনা বন্দোপাধ্যায় আর পঞ্জাব দি মুন্ডা গুরমীত চৌধুরীর কেমিস্ট্রি দেখলে আপনিও বলতে বাধ্য হবেন, ‘হ্যাঁ’। বিয়ে হয়েছে সেই ২০১১-তে। তবুও রোম্যান্সে পড়েনি ভাঁটা। করওয়া চৌথ পালন করেছেন তিনিও।
সব মিলিয়ে করওয়া চৌথ জমে গিয়েছিল বলিপাড়ার অন্দরে। হেমন্তেই বসন্ত নেমেছিল মায়ানগরীতে।