AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ক্ষমা চাইল KBC BOY, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মাঝে কী বলল ইশিত

গুজরাটের এই ক্ষুদে প্রতিযোগী সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময় এমন কিছু মন্তব্য করেন, যা দর্শকদের একাংশের কাছে “অসৌজন্যমূলক” বলে মনে হয়েছিল। তারপর থেকেই নেটপাড়ায় শুরু লেখালেখি। ট্রোল-বিতর্ক থেকে ছাড় পায়নি ১০ বছরের এই শিশুও।

ক্ষমা চাইল KBC BOY, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মাঝে কী বলল ইশিত
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2025 | 6:31 PM
Share

‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ সিজন ১৭ বর্তমানে চর্চায়। কারণ ১০ বছরের প্রতিযোগী ইশিত ভাট-এর আচরণ নিয়ে তীব্র বিতর্ক। গুজরাটের এই ক্ষুদে প্রতিযোগী সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময় এমন কিছু মন্তব্য করেন, যা দর্শকদের একাংশের কাছে “অসৌজন্যমূলক” বলে মনে হয়েছিল। তারপর থেকেই নেটপাড়ায় শুরু লেখালেখি। ট্রোল-বিতর্ক থেকে ছাড় পায়নি ১০ বছরের এই শিশুও। তবে নেটপাড়া ছিল দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ কেউ আবার শিশুটির মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করে সমালোচকদের প্রবল সমালোচনা করেন, কেউ কেউ আবার ট্রোল বিষয় ভয়ানক প্রতিবাদ করেন।

এবার সেই শিশুই আরও একবার খবরের শিরোনামে। এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর, ছোট্ট ইশিত নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো ও বার্তা শেয়ার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, সে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একটি ছবি তোলার অনুরোধ জানাচ্ছে, এবং বিগ বি সস্নেহে রাজি হচ্ছেন। পোস্টের সঙ্গে ইশিত লেখে— “আমি একটি বড় শিক্ষা পেয়েছি—আমাদের কথা ও আচরণ আমাদের চরিত্রের প্রতিফলন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগামী দিনে আরও বিনয়ী, শ্রদ্ধাশীল ও সচেতন হব।” নিজের বার্তায় সে সই করেছে ‘দ্য কেবিসি বয়’ নামে।

উল্লেখ্য, কুইজ পর্ব চলাকালীন ইশিত বেশ আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে অমিতাভকে বলেন, “নিয়ম বোঝাতে সময় নষ্ট করবেন না।” এই মন্তব্যে কেউ-কেউ মজা পেলেও, অনেকেই এটিকে “অভদ্রতা” হিসেবে দেখেন। পর্বটি সম্প্রচারের পরপরই সেই ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

তবে ইশিতের ক্ষমা চাওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ ছোট্ট ছেলেটির এই পরিণত মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। কেউ লিখেছেন, “সে এখনও শিশু, ভুল করেছে, বুঝেছে এবং ক্ষমা চেয়েছে—এটাই বড় বিষয়।” আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “একজন ১০ বছরের শিশুকে এমনভাবে ট্রোল করা ঠিক নয়।”

এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক এখন এক নতুন আলোচনায় রূপ নিয়েছে—সহমর্মিতা, দায়িত্ববোধ ও সামাজিক আচরণের শিক্ষা কীভাবে ছোটদের শেখানো উচিত সেই নিয়েই চলছে চর্চা।