লাগাতার হুমকি, ছাড় পায়নি পরিবারও! বিস্ফোরক কিরণ, ‘আমার কিছু হলে…’

Kiran Dutta: আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দিন থেকেই সরব বাংলার প্রথম সারির ইউটিউবার কিরণ দত্ত। সিস্টেমের বিরুদ্ধে বারবার কথা বলেছেন। এমনকি বিচার চেয়ে একাধিকবার রাস্তাতেও নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এই প্রতিবাদের মূল্য যে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে দিতে হচ্ছে এবার সেই কথাই অকপট জানালেম কিরণ ওরফে দ্য বং গাই।

লাগাতার হুমকি, ছাড় পায়নি পরিবারও! বিস্ফোরক কিরণ, 'আমার কিছু হলে...'
Follow Us:
| Updated on: Sep 14, 2024 | 8:46 PM

আরজি কর কাণ্ডের প্রথম দিন থেকেই সরব বাংলার প্রথম সারির ইউটিউবার কিরণ দত্ত। সিস্টেমের বিরুদ্ধে বারবার কথা বলেছেন। এমনকি বিচার চেয়ে একাধিকবার রাস্তাতেও নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এই প্রতিবাদের মূল্য যে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে দিতে হচ্ছে এবার সেই কথাই অকপট জানালেম কিরণ ওরফে দ্য বং গাই। সমাজমাধ্যমে লিখলেন, “যে পরিমাণ হুমকি আসছে আমার আর আমার পরিবারকে নিয়ে, ক্ষতিও হয়েছে, এর পর আমার কিছু হলে কারা দায়ী আপনারা নিজেরাই বুঝে নেবেন। আমি এটাও জানি এখন কিছু হবে না। হবে সব শান্ত হলে।”

স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান ও মুখ্যমন্ত্রী সেই স্থান পরিদর্শনের পরেই এ দিন কিরণ একটি পোস্ট করেছিলেন। তাতে লেখা ছিল, “ত্রিপলগুলো একবার গুণে নেবেন।” নাম না করেই তৃণমূলের সেই ‘ত্রিপল চুরি’ বিতর্ককেই যে উস্কে দিয়েছিলেন কিরণ তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি কারও। এর পরেই কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ নেমে আসে তাঁর উপর। কমেন্ট বক্সে কখনও পরিবার টেনে, কখনও আবার যৌনজীবন টেনে শুরু হয় বাক্যবাণ। এমনকি বাড়িতে লোক পাঠিয়ে তাঁকে আক্রমণের সরাসরি হুমকিও দিতে দেখা যায় জনৈক ফেসবুক ব্যবহারকারীকে।

এর পরেই কিরণ করেন ওই মন্তব্য। এখানেই শেষ নয়। সঙ্গে জুড়ে দেন আরও বেশ কিছু কথা। কিরণ লেখেন, “আপনার সত্যি মনে হয় আমি টাকার জন্য এগুলো করছি? শেষ দুমাস তো এক টাকাও রোজগার করিনি। কিন্তু বন্যার জায়গা গুলোয় ১ লাখের ও বেশী টাকা আমি পাঠিয়েছি। এটা লিখে হনু সাজতে কোনোদিনই চাইনি তাও বোঝানোর জন্য বলছি। সেই টাকা গুলো যাদের দু বেলা খাবার হয়েছে তারা কোন দল করে আমি জানি? আপনাদের মতোই মানুষ তারা। আমার বন্ধু। সাধারন মানুষের সাথে আমার কিসের লড়াই? টাকার জন্য করলে আজ এসে এটা বলতে হতো না , ঢাক পিটিয়ে বলতাম ডোনেট করেছি।ভিডিও করতাম। তা করেছি? আমাকে কোনোদিনই রাজনীতিতে দেখবেন না আমি কথা দিলাম। সেদিন মাঝ রাস্তায় চড় মেরেন আমায়। সাধারন মানুষ প্রত্যেকটা পরিসরে যেভাবে হেনস্তা হয় সেটা নর্মাল লাগলেও সেটা উচিৎ নয়। আর ক্রিটিসাইস প্রতিবাদের মাধ্যমেই সমাজ উন্নত হয়। আমি সাধারণ মানুষের দলে।” কিরণের দাবি অতীতে রাজনৈতিক প্রলোভনও এসেছে তাঁর কাছে। তাঁর কথায়, “বড় বড় মাথাদের সাথে এক টেবিলে বসে মিটিং করেছি। নোংরা রাজনীতি করতে হলে টাকা নিয়ে করতাম। নিজেদের অধিকার ভুলে যাবেন না। আমরা সবাই একটা উন্নত সমাজ ডিসার্ভ করি আর সেটার জন্যই আমার লড়াই।” তবু আক্রমণ থামেনি। তিলোত্তমা এখনও বিচার না পেলেও কিরণের পেজে ট্রোলিং চলছে সমানে।