শহরের মন ভাল নেই। কেউ কেউ উৎসবে ফিরেছেন আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন যারা এই পুজোয় নতুন জামা গায়ে তোলেননি। তিলোত্তমা বিচার পাননি। চিকিৎসকেরা বসেছেন অনশনে। এমতাবস্থায় তিলোত্তমার বিচার চেয়ে ও চিকিৎসকদের পাশে থেকে যিনি প্রথম থেকেই ছিলেন সোচ্চার তিনি ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ডাক্তার নারায়ণকেই একহাত নিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কী ‘অপরাধ’ তাঁর?
দিন দুয়েক আগে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জামদানি পাঞ্জাবি পরে ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, “সারাদিনের কাজের শেষে বাড়িতে পৌঁছে একটাই প্রার্থনা করি, সবাই যেন সুস্থ থাকেন বিবেক জাগ্রত হোক।” সেই ছবিই শেয়ার করে অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা জানান, যে পাঞ্জাবিটি নারায়ণবাবু পরে আছেন তা তাঁরই বুটিকের। সুদীপা লেখেন, “এটি সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের একটি এক্সক্লুসিভ জামদানি কুর্তা।” কেউ যদি এ ধরনের পাঞ্জাবি নিতে চান, সেই কারণে নিজের নম্বরও শেয়ার করেন সুদীপা।
এদের গ্যাস খেয়ে ওদিকে ওরা অনশনে। এদিকে বিবেকের কোটিং মেরে পোজ দিয়ে ফ্যাশন প্যারেড চলছে। যদি অনশনরতদের প্রতি সত্যি দরদ থাকে, কোনো মানুষ এই পোস্ট করতে পারে না। pic.twitter.com/eN377Q97Tj
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) October 14, 2024
এর পরেই সুদীপা ও নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট শেয়ার করে কুণাল ঘোষ লেখেন, “এদের গ্যাস খেয়ে ওদিকে ওরা অনশনে। এদিকে বিবেকের কোটিং মেরে পোজ দিয়ে ফ্যাশন প্যারেড চলছে। যদি অনশনরতদের প্রতি সত্যি দরদ থাকে, কোনো মানুষ এই পোস্ট করতে পারে না।” কুণালের ওই মন্তব্য নিয়ে এই মুহূর্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সামাজিক মাধ্যমে। একজন লেখেন, “এটা এক প্রকার সিগারেট খেতে খেতে অন্যকে জ্ঞান দেওয়া যে সিগারেট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। ঠিক সেই রকম যার মধ্যে বিবেকের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই সে বিবেকের কথা বলে।” আবার আর এক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী পাল্টা দুষে কুণালকে লিখেছেন, “আর আপনাদের সরকার? Carnival করছে? চালিয়ে যান।”