কাঞ্চনের সাজানো বাগানই এখন শ্রীময়ী চট্টরাজের নতুন আস্তানা। তাঁর নতুন ফ্ল্যাটেই শুরু করেছেন নতুন সংসার। থেকে থেকেই যেন নতুন বউকে চোখে হারাচ্ছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। বাড়ির কাজ করতে মানা করতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দুপুর ১২টায় ঘুম থেকে উঠছেন। সব মিলিয়ে ভালই আছেন শ্রীময়ী। সোমবার অর্থাৎ এ দিন ছিল ঘরোয়া বউভাতের অনুষ্ঠান। খানিক জোর করেই মাংস রান্না করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন শ্রীময়ী। হয়েছে ভাত-কাপড়ের অনুষ্ঠানও। মাথা ভর্তি সিঁদুর আর গায়ে সোনার গয়না পরে কাঞ্চনকে সারা জীবন ভাত হাতে করে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রীময়ী। উপহারও কিন্তু বাদ যায়নি। নতুন বউকে নোয়া বাঁধানো আর ভারী নেকলেসও দিয়েছেন কাঞ্চন। সব মিলিয়ে আদরে-সোহাগে শ্বশুরবাড়ির প্রথম দিন ভালই কেটেছে তাঁর।
সময় কম ছিল হাতে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ ঘটা করেই আয়োজিত হয়েছিল শ্রীময়ী ও কাঞ্চনের আনুষ্ঠানিক বিয়ের অনুষ্ঠান। টলিপাড়ার বিশেষ কেউ আমন্ত্রণ না পেলেও হাতেগোনা পরিচিত মুখকে দেখা গিয়েছে সেই বিয়েতে। নিজের বিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করেছেন শ্রীময়ী। কখনও হিন্দি গানের সঙ্গে নাচ আবার কখনও বা কাঞ্চনের সঙ্গে খুনসুটি– গোটা বিয়ে বাড়ি জুড়ে ছিল আনন্দের উচ্ছ্বাস। নিজের শাড়ি নিজেই ডিজাইন করেছিলেন। বিয়ের আগের সব উপাচার যেমন নাহ্নীমুখ থেকে শুরু করে মেহেন্দি, গায়ে হলুদ কিছুই যেন বাদ যায়নি। আগামী ৬ মার্চ তাঁদের রিসেপশন। সংখ্যায় কম হলেও সেদিন দেখা যেতে পারে টলিপাড়ার চেনামুখদের।