৬০ খানা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৪ দিন হাসপাতালে ছিলাম: মাধবী মুখোপাধ্যায়

Tollywood Inside: সাংবাদিক এস এন এম আবদি ১৯৯২ সালে মাধবীর এক সাক্ষাৎকার নেন। সেই সাক্ষাৎকারেই এমন সব কথা বলেছিলেন মাধবী যা হয়তো আপনি ভাবতেও পারবেন না। ত্যাগ, মুক্তি, ভালবেসে চলে যাওয়ার কে অপূর্ণ আখ্যান শুনে কে বলতে পারে হয়তো দ্রব হয়ে উঠতে পারে আপনার চোখও।

৬০ খানা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৪ দিন হাসপাতালে ছিলাম: মাধবী মুখোপাধ্যায়
সত্যজিৎ-মাধবীর যে ঘটনা নাড়িয়ে দেয় ইন্ডাস্ট্রিকে
Follow Us:
| Updated on: May 03, 2024 | 4:44 PM

সে সময় সামাজিক মাধ্যম ছিল না। ছিল না ফেসবুক, ইনস্টার ভিড়। ট্রোলিং কী জিনিস তা তখনও বুঝতে পারেনি তামাম দুনিয়া। যদি থাকত তবে এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা কিছু কম হয়নি। একটা নয় ৬০টা ঘুমের ওষুধ– খেয়ে ফেলেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়। শেষ করে দিতে চান নিজেকে। তবু নিয়তি লিখেছিল অন্য গল্প। আর সেই গল্পই তুলে ধরা হল টিভিনাইন বাংলার এই প্রতিবেদনে।

সাংবাদিক এস এন এম আবদি ১৯৯২ সালে মাধবীর এক সাক্ষাৎকার নেন। সেই সাক্ষাৎকারেই এমন সব কথা বলেছিলেন মাধবী যা হয়তো আপনি ভাবতেও পারবেন না। ত্যাগ, মুক্তি, ভালবেসে চলে যাওয়ার কে অপূর্ণ আখ্যান শুনে কে বলতে পারে হয়তো দ্রব হয়ে উঠতে পারে আপনার চোখও। সত্যজিৎ ও মাধবীর সম্পর্কের কথা টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যায় আজও। কেউই কারও হননি কোনওদিন। যে সময় মাধবীর সত্যজিতের জীবনে প্রবেশ সে সময় পরিচালক বিবাহিত। স্ত্রী বিজয়া রায়ের সঙ্গে সাংসারিক জীবন চলছে পুরোদমে। ওদিকে মাধবীও সঁপেছেন প্রাণ। কিন্তু ঘর ভাঙানি তকমা গায়ে লাগাতে নারাজ ছিলেন বরাবরই। ওদিকে সত্যজিতের চরিত্র নিয়ে তখন চতুর্দিকে লেখালিখি। মাধবীর কথায়, “ওর নাম আমার নামের সঙ্গে জুড়ে ওর চরিত্র কলুষিত করা হচ্ছিল। মনে হয়েছিল নিজেকে শেষ করে দিতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান।” যোগ করেছিলেন, “৬০টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। আমায় মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানো হয়েছিল। হাসপাতালে চার দিন অচৈতন্য ছিলাম।” বিষয়টি গড়িয়েছিল থানা-পুলিশও। তবে সামাজিক মাধ্যমের দৌরাত্ম্য ছিল না বলে তা নিয়ে বিশেষ হইচই হয়নি।

দু’জনে কোনওদিনই প্রকাশ্যে এই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া রায় তাঁর আত্মজীবনী ‘আমাদের কথা’-য় লিখেছেন এই গুঞ্জন তাঁকে কষ্ট দিয়েছিল। কোনও অভিনেত্রীর নাম কিন্তু তিনি নেননি। এত বছর হয়ে গিয়েছে। রায়ের জীবনাবসানেরও অনেক দিন অতিক্রান্ত। মাধবী পরবর্তীতে বিয়ে করে সংসারীও হন। তবু অতীত বড় দায়! অতীতের টান তাও কি ভোলা যায়?