মিঠুন চক্রবর্তী, ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের ডিস্কো ডান্সার। যাঁকে কেন্দ্র করে বারবার বক্স অফিস ফুলে ফেঁপে উঠেছে। প্রেক্ষাগৃহের সামনে উপচে পড়া ভিড়, টিকিট ব্ল্যাক, শুক্রবারের বাজার গরম। তিনিই মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলা থেকে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তিনি বারাবার ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সাল ১৯৭৬, কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরে মৃগয়া ছবিতে আত্মপ্রকাশ মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রথম ছবিতেই ঝুলিতে এসেছিল জাতীয় পুরস্কার। তারপর টানা ১৮ বছরের লড়াই। ১৯৮৬ সালে ডিস্কো ডান্সার মিঠুন হয়ে ওঠেন বলিউডের প্রাণ কেন্দ্র। অন্যতম সুপারস্টার। এরপর সুরক্ষা, হাম পাঁচ, সহস, ওয়ারদাত, শৌকিন, ওয়ান্টেড, বক্সার, কসম প্যাদা করনে ওয়ালে কি, পেয়ার ঝুকতা না, গুলামি, দিলওয়ারসি, শেওয়ালা, সোয়ালা আন্ডার, অবিনাশ, ডান্স ডান্স, ওয়াতন কে রাখালে, পেয়ার কা মন্দির, ওয়াক্ত কি আওয়াজ, প্রেম প্রতিজ্ঞা, দাতা, মুজরিম, অগ্নিপথ, রাবন রাজ, একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি।
যদিও সকলের মতো তিনিও ব্যর্থতা দেখেছেন, ফ্লপ ছবি জায়গা করে নিয়েছে তাঁর ঝুলিতেও। নয়ের দশকের শেষের দিকে পাল্টে গিয়েছিল তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ। তবে সেই পতনও খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ তখনও টলিপাড়ায় ঝড় তোলা ছিল বাকি। গুরু, যে ছবি মুক্তির পর কলকাতার বুকে ঝড় উঠেছিল। তবে বলিউডকে যে তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন এমনটা নয়। গোলমাল ৩, হাউসফুল ২, ওএমজি – ওহ মাই গড, খিলাড়ি ৭৮৬, কিক, দ্য তাশখন্দ ফাইলস এবং দ্য কাশ্মীর ফাইলস-এর মত ছবিতে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। পাশাপাশি টেলিভিশনেও হয়ে উঠেছেন মহাগুরু। ডিস্কো ডান্সার নাচের রিয়্যালিটি শোয়ে গুরুর আসন দখল করে নিয়েছিলেন। বাংলার বুকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ডান্স বাংলা ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ে তিনি মহাগুরু।
মৃগয়া, তাহাদের কথা ও স্বামী বিবেকানন্দ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এবার দাদা সাহেব ফালকের পালা। খর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সকলেই। চলতি বছর পুজোর বক্স অফিস ল়ড়াইয়ে সামিল তিনিও। মুক্তি পেতে চলেছে শাস্ত্রী। তার আগেই না পালক মিঠুনের মুকুটে।