সুশান্ত কাণ্ডে নতুন মোড়। ড্রাগ লর্ড শাহিল শাহ ওরফে এলিয়াস ফ্ল্যাকোকে হন্যে হয়ে খুঁজছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ওরফে এনসিবি। এনসিবি তরফে জানান হচ্ছে সুশান্তকে মাদক পাচার কাণ্ডে মূল চক্রী তিনি। তাঁকে ধরতে পারলেই বেরিয়ে আসবে নয়া তথ্য। কিন্তু কে এই শাহিল? কীভাবে বা তাঁর খোঁজ পেলেন এনসিবি কর্তারা?
প্রসঙ্গত বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই এনসিবি’র আতসকাচে রয়েছেন শাহিল। কিন্তু কোনওমতেই তাঁকে সনাক্ত করতে পারছিলেন না এনসিবি কর্তারা। সোমবার মুম্বইয়ের পারেল থেকে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনসিবি। তাঁরা হলেন গণেশ শেরি এবং সিধান্ত আমিন। তাঁদের কাছ থেকেই শাহিলের মুম্বইয়ের আবাসনের সন্ধান পান এনসিবি কর্তারা। কিন্তু তিনি সেখানে ছিলেন না। মুম্বইয়ের মালাডে যে আবাসনে সুশান্ত আগে থাকতেন সেই একই আবাসনে ফ্ল্যাট শাহিলের।
সূত্র বলছে, বর্তমানে তিনি দুবাইতে রয়েছেন। দুবাই থেকেই মুম্বইয়ের গোটা মাদকচক্র চালান তিনি। আরও জানা যাচ্ছে যে সব পেডলার মারফত শাহিল এই চক্র চালান তাঁদের কারও কাছেই তাঁর নম্বর নেই। কথা হয় কলিং কার্ডের মাধ্যমে। এমনকি ভিডিয়ো কলে শাহিল নিজের মুখও দেখাননি তাঁদের। এনসিবি সূত্রে খবর, বলিউডের হাই প্রোফাইল ক্লায়েন্ট রয়েছে শাহিলের। তাঁদের নিয়মিত মাদক পাচার করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যে দুই ব্যক্তিকে এনসিবি সোমবার গ্রেফতার করেছে তাঁদের দু’জনের কাছ থেকেই মাদক উদ্ধার হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজনের পুলিশের এসআই পদের পরীক্ষা ছিল আগামী সপ্তাহে। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত টাকা রোজগারের আশাতেই শাহিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।