‘মারব এখানে…’, ব্রিগেডে মিঠুনের মুখে সলিলের সংলাপ, ‘গর্ব হচ্ছে’, উচ্ছ্বসিত চিত্রনাট্যকার

বিহঙ্গী বিশ্বাস | Edited By: Debasmita Chakraborty

Mar 07, 2021 | 10:27 PM

এই সব সংলাপের স্রষ্টা যে মানুষটি তাঁর নাম এনকেসলিল। এক সময় যার 'মার-মার, কাট-কাট' সংলাপে সিনেমা হল কাঁপত শিসধ্বনিতে, আজ বহুদিন পর তাঁর প্রিয় 'মিঠুনদা'র মুখে আবারও সেই সংলাপ শুনে কেমন লাগছে তাঁর? কী বললেন তিনি? টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল এনকে সলিলের সঙ্গে।

মারব এখানে..., ব্রিগেডে মিঠুনের মুখে সলিলের সংলাপ, গর্ব হচ্ছে, উচ্ছ্বসিত চিত্রনাট্যকার
বাঁ দিকে মিঠুন চক্রবর্তী। এবং ডান দিকে এন কে সলিল।

Follow Us

 

সূর্য তখন মধ্যগগনে। ব্রিগেড চত্বরেও গেরুয়া রঙের ঢল। ধুতি-পাঞ্জাবিতে মঞ্চে উঠলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিলেন তাঁর জনপ্রিয় সংলাপ-বাণ। একেবারে ফিল্মি কায়দায় ‘মহাগুরু’ বলে উঠলেন, “আমি জলঢোড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো।” ব্রিগেড প্রাঙ্গনে তখন হাততালি, চিৎকারের রোল। এর পরেই মিঠুনোচিত কায়দায় তাঁর ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ ছবির বিখ্যাত সংলাপ ছুড়ে দিয়ে তিনি বললেন, “মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে”। মিঠুন ম্যাজিকে তখন বুঁদ গেরুয়া সমর্থকেরা।

এই সব সংলাপের স্রষ্টা যে মানুষটি তাঁর নাম এনকেসলিল। এক সময় যার ‘মার-মার, কাট-কাট’ সংলাপে সিনেমা হল কাঁপত শিসধ্বনিতে, আজ বহুদিন পর তাঁর প্রিয় ‘মিঠুনদা’র মুখে আবারও সেই সংলাপ শুনে কেমন লাগছে তাঁর? কী বললেন তিনি? টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল এনকে সলিলের সঙ্গে।

 

উচ্ছ্বসিত এনকে সলিল। বললেন, “এটা তো পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মুখের কথা। আজকে যদি দাদা ব্রিগেডে মানুষের মধ্যে এই কথাটা ছড়িয়ে দেন তা হলে তো আমার গর্ব বোধ করা উচিত। বাংলার মানুষদের কথা ভেবে একসময় এই সংলাপ লিখেছিলাম আমি। দাদা নিজেও বাংলার মানুষদের ভাল চান। সে জন্যই লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে এই কথা ছড়িয়ে দিয়েছেন। যে পরিবর্তনের ডাক এক বিশেষ পার্টি থেকে দেওয়া হয়েছে দাদা তার প্রতিনিধি হয়ে যে আমার সংলাপ বলবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।” সলিল যোগ করেন, “অবশেষে মনে হচ্ছে আমার লেখা বুঝি অবশেষে সার্থক হল”।

ব্রিগেড সমাবেশে যাননি তিনি। টিভিতেও চাক্ষুষ করেননি সেই মুহূর্ত। কিন্তু তাঁর ডায়লগে মঞ্চ কাঁপাতেই একের পর এক ফোন এসেছে তাঁর কাছে। এখনও আসছে। আর ‘কাছের দাদা’র বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কী বলতে চান তিনি? সলিল বললেন, “একসময় দাদার ছায়াসঙ্গী ছিলাম। দাদার সব সময় চাইতেন বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে। সে যে দলই হোক না কেন। ওর হয়তো মনে হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মটা তাঁর জন্য ঠিকঠাক। আর দাদা তো আজকে রাজনীতি করছেন না। সেই ১৯৭১ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি।” ‘দাদা’ তো বিজেপিতে, আর আপনি? সলিল জানালেন তাঁর কাছে অফার আসেনি এখনও। যদি আসে? তাঁর সোজাসাপ্টা জবাব, “দাদা যদি বলে বিজেপিতে জয়েন করতে নিশ্চয়ই করব’।

Next Article