এবারের লোকসভা নির্বাচনের ধারেকাছে নেই বসিরহাটের বিদায়ী সাংসদ নুসরত জাহান। তৃণমূলের হয়ে প্রচারেও অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। রাজনীতি কার্যত ছেড়ে দিলেও নুসরতকে ট্রোল কিন্তু ছাড়েননি। ফের একবার ট্রোলের মুখে নুসরত জাহান। আলোচনায় আবারও তাঁর ‘ঠোঁট’! সম্প্রতি যশ ও ঈশানকে নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন নুসরত। সেখান থেকে মাঝেমধ্যেই ছবি শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। কখনও নীল বিকিনিতে আবার কখনও সমুদ্রের ধারে কাটানো ‘কোয়ালিটি টাইম’ শেয়ার করে নিচ্ছেন সামাজিক মাধ্যমে। এরকমই এক ছবি শেয়ার করেই ট্রোলড হতে হল তাঁকে। তাঁর ঠোঁটকে তুলনা করা হল ওরাংওটাংয়ের সঙ্গে।
ওরাংওটাংকে কোলে নিয়ে একটি ছবি দিয়েছিলেন নুসরত। তা দেখেই এক নেটিজেন ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, “সে কী! এতো দেখি দু’জনের ঠোঁটই একরকম।” নুসরতকে নিয়ে নেটিজেনদের বহু পুরনো অভিযোগ তিনি নাকি লিপজব করিয়েছেন। কী এই লিপজব? ঠোঁট পুরু দেখানোর জন্য কৃত্তিম উপায়ে ইঞ্জেকশন পুশ করে কারুকার্যেরই বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘লিপফিলার বা লিপজব’। যদিও নুসরত কখনওই লিপজবের কথা স্বীকার করেননি। শুধু নুসরত নয়, মিমি চক্রবর্তী থেকে শুরু করে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এরা সকলেই লিপজব করিয়েছেন– টলিপাড়ায় এমন অভিযোগ নতুন নয়। সেই কথাই উল্লেখ করেই এবার চরম সমালোচনার মুখে নুসরত। শুধু সমালোচনাই নয়, হচ্ছে তুমুল হাসাহাসি।
কেন এবার লোকসভা ভোটে জায়গা হল না নুসরতের? কেন তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেলেন না তিনি? এ নিয়ে রয়েছে নানা মত। সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকত এই শাহজাহানের উপরেই। শাহজাহানকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি উত্তাল তখন একবারের জন্যও সেখানে যাননি খোদ সাংসদ। এমনকি কেন জাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সন্তোষজনক উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং ধারা ভুল বলায় হয়েছিলেন সমালোচিতও। যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “নুসরত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর যাওয়া দরকার ছিল।” সে কারণেই কি তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না এবার? বাদ পড়লেন নুসরত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনটাই। নুসরতের বদলে এবার বসিরহাটের প্রার্থী ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।