নুসরত জাহান– নামের মধ্যেই বিতর্ক। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে টিকিট মেলেনি তাঁর। তাতে অবশ্য নুসরত খুব একটা ভাবিত নন, জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল। বরং নুসরত মজে তাঁর ভালবাসায়, প্রেমে। প্রথম কামড়েই হয়েছে প্রেম। তৈরি হয়েছে অনুরাগ। রবিবারের দুপুরে ছবি দিয়ে সবটা জানালেন তিনি।
বৈশাখ মাস, আবহাওয়া দফতর তাপপ্রবাহ কমার ইঙ্গিত দিলেও তার নামগন্ধ নেই। এরকম এক রবিবারের দুপুর বৃথা হতে দিলেন না বিদায়ী সাংসদ। বরং ডায়েট ভুলে তিনি বেলাগাম। কামড় বসালেন আমে। লিখলেন, ‘প্রথম কামড়েই ভালবাসা। আর কারা কারা আছেন যারা আমি ভালবাসেন?” আম, কলা– এই ফল সাধারণত এড়িয়েই যান স্বাস্থ্য সচেতনরা। খেলেও তা খুবই মেপে। তবে নুসরত সে সবের ধার ধারেননি। তাঁর হাতে আস্ত আম।
কেন নুসরতকে প্রার্থী করা হল না এবারে? সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকত এই শাহজাহানের উপরেই। শাহজাহানকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি উত্তাল তখন একবারের জন্যও সেখানে যাননি খোদ সাংসদ। এমনকি কেন জাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সন্তোষজনক উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং ধারা ভুল বলায় হয়েছিলেন সমালোচিতও। যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “নুসরত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর যাওয়া দরকার ছিল।” সে কারণেই কি তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না এবার? বাদ পড়লেন নুসরত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনটাই। নুসরতের বদলে এবার বসিরহাটের প্রার্থী ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।