অপারেশন সিঁদুর সমর্থনের কোন শাস্তি পেলেন বলিউডের তারকারা?
সোশ্যাল মিডিয়াতে কার কত ফলোয়ার, তার উপর ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্টের কাজ নির্ভর করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যদি কোনও গ্রোথ না থাকে, তা হলে সেটা সমস্যায় ফেলবে তারকাদের। টলিপাড়ার অধিকাংশ তারকার ইনস্টাগ্রামে গেলে দেখা যাবে, গত এক বছরে ফলোয়ার বেড়ে যাওয়ার সংখ্যা চোখে পড়ার মতো নয়। তাই সামনের তিন মাসে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের গ্রোথের দিকে নজর দিতে হবে তারকাদের। সেক্ষেত্রে তাঁরা কোন বিষয়ে মত প্রকাশ করবেন আর কোন বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটবেন, সেটা দেখার।

সোশ্য়াল মিডিয়ায় কার কত ফলোয়ার, সেটা এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের তারকাদের জন্য। সেটা বলিউড হোক আর টলিউড। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহাওয়াতে, অপারেশন সিঁদুর সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কথা লিখেছেন বলিউডের কিছু তারকা। আর তাতেই হুড়মুড় করে ফলোয়ার্স কমতে শুরু করল তাঁদের। মে মাসের সাত আর আট তারিখ থেকে আলিয়া ভাট, অজয় দেবগণ, কার্তিক আরিয়ান, সারা আলি খান বা জাহ্নবী কাপুরের মতো তারকাদের ফলোয়ার্স কমেছে।
সাউথ এশিয়ার বহু মানুষ এই তারকাদের আনফলো করতে শুরু করে দিয়েছেন, এমন আঁচ করছেন সোশ্য়াল মিডিয়ার বিশেষজ্ঞরা। আলিয়া ভাট একদিনে এক লক্ষ ফলোয়ার হারিয়েছেন। কার্তিক আরিয়ানের ফলোয়ার কমেছে ৬০ হাজার। অজয় দেবগণকে একদিনে ২০,০০০ ফলোয়ার আনফলো করে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের কিছু শিল্পীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। তার প্রতিবাদে ইউকে, ইউএসএ থেকে কিছু ফলোয়ার এমন পদক্ষেপ করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অজয় দেবগণ লিখেছিলেন, ”স্যালুট করছি আমাদের সম্মানীয় প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় এয়ারফোর্সকে। ভারত মাথা উঁচু করে লড়াই করছে। জয় হিন্দ।” কার্তিক আরিয়ান তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন, ”পহেলগাঁওয়ের স্বর্গীয় সৌন্দর্য আর শান্ত পরিবেশের সাক্ষী থাকার সুযোগ হয়েছিল। সেই জায়গার এমন ভয়ঙ্কর ছবি দেখে হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। এমন খারাপ কাজের কোনও ক্ষমা হয় না। সেই পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।” আলিয়া ভাট লিখেছিলেন, ”দেশের সেনাবাহিনীকে স্যালুট করছি, শুধু অপারেশন সিঁদুরের জন্য নয়, প্রতিদিনের জন্য।” বাকি তারকারা অপারেশন সিঁদুরের সমর্থনে এমন কথাই লিখেছেন। কিন্তু তার এমন শাস্তি পেতে হবে, কে জানতেন!
লক্ষণীয়, টলিপাড়ার শিল্পীদের অনেক ফলোয়ার রয়েছে বাংলাদেশে। ভারত-বাংলাদেশ রাজনৈতিক সমীকরণের প্রভাব টলিপাড়ার শিল্পীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের উপর কতটা পড়বে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে কার কত ফলোয়ার, তার উপর ব্র্যান্ড এনডর্সমেন্টের কাজ নির্ভর করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যদি কোনও গ্রোথ না থাকে, তা হলে সেটা সমস্যায় ফেলবে তারকাদের। টলিপাড়ার অধিকাংশ তারকার ইনস্টাগ্রামে গেলে দেখা যাবে, গত এক বছরে ফলোয়ার বেড়ে যাওয়ার সংখ্যা চোখে পড়ার মতো নয়। তাই সামনের তিন মাসে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের গ্রোথের দিকে নজর দিতে হবে তারকাদের। সেক্ষেত্রে তাঁরা কোন বিষয়ে মত প্রকাশ করবেন আর কোন বিষয়ে মুখে কুলুপ আঁটবেন, সেটা দেখার।





