Money Heist: ‘মানি হাইস্ট’-এর অ্যালিসিয়ার সঙ্গে ভারতের গভীর যোগসূত্র!
Money Heist: ‘দ্য ট্রি অব ব্লাড’ (২০১৮), ‘দ্য মেথড’ (২০০৫)-এর মতো স্প্যানিশ ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নাজওয়ার নাম। কিন্তু ‘মানি হাইস্ট’ তাঁকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
‘মানি হাইস্ট’-এর পঞ্চম সিজনের প্রথম পার্ট মুক্তি পেয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর। এতদিনে হয়তো সব কটা এপিসোড আপনি দেখে ফেলেছেন। অ্যালিসিয়া অর্থাৎ নাজওয়া নিমরির অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক। স্প্যানিশ অভিনেত্রী একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই অভিনেত্রীর সঙ্গে ভারতের এক অদ্ভুত যোগ রয়েছে। তা কী জানেন?
নাজওয়া সদ্য এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছে ভাইয়ের সূত্র ধরে। তাঁর কথায়, “ভারতের কথা উঠলেই আমার মনে আসে অনেক রং। রঙের বিস্ফোরণ বলতে পারেন। আমার ভাই আসলে বারাণসীতে থাকত। সেই সূত্রেই ভারতের সঙ্গে পরিচয় আমার। আপনারা বলবেন ভারত, আমি বলব রং।”
‘দ্য ট্রি অব ব্লাড’ (২০১৮), ‘দ্য মেথড’ (২০০৫)-এর মতো স্প্যানিশ ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নাজওয়ার নাম। কিন্তু ‘মানি হাইস্ট’ তাঁকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ডিসেম্বরের আসন্ন পঞ্চম সিজনের শেষাংশ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। কিন্তু দর্শক আরও উত্তেজনার রসদ পাবেন, এটুকু নিশ্চিত করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগে ইলেকট্রনিক ডান্স মিউজিক ইডিএম শিল্পী নিউক্লেয়া তৈরি করেছেন ‘মানি হাইস্ট’ অ্যান্থেম। হিন্দি, তামিল এবং তেলগু ভাষায় সে গানে পারফর্ম করেছেন এই তিন ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা শিল্পীরা। মূল শো ইংরেজিতে তৈরি নয়, অথচ জনপ্রিয়তার খাতিরে যে ভাবে প্রাদেশিক ইন্ডাস্ট্রির তরফে প্রাদেশিক ভাষা ব্যবহার করে এর প্রচার হল, তা নিঃসন্দেহে নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সিনে ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষ। নিউক্লেয়া, যাঁর আসল নাম উদয়ন সাগর, এই কাজের প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমি মানি হাইস্টের অনেক বড় অনুরাগী। তাই এই অ্যান্থেমের উপর কাজ করা আমার কাছে মজার। যাঁরা এই সিরিজ ভালবাসেন, সেই সমস্ত অনুরাগীদের এখন মনের অবস্থা যেমন, আমি ঠিক সেটাই এই অ্যান্থেমে দেখানোর চেষ্টা করেছি।”
আদতে এটি স্প্যানিশ ক্রাইম ড্রামা। সাম্প্রতিক অতীতে নেটফ্লিক্সে ইংরেজি ব্যতীত অন্য ভাষায় সবচেয়ে বেশি দেখা ওয়েব সিরিজের রেকর্ড রয়েছে ‘মানি হাইস্ট’-এর ঝুলিতেই। এর চতুর্থ সিজন সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। ৬৫ মিলিয়ন ভিউ হয়েছিল সেই সিজনের। এক বিবৃতিতে নির্মাতা তথা এক্সজিকিউটিভ প্রোডিউসার অ্যালেক্স পিনা বলেন, “আমরা প্রায় এক বছর সময় নিয়ে ভেবেছিলাম, এই টিম কী ভাবে ভাঙব। কীভাবে প্রফেসরকে প্রায় দড়ির উপর বসিয়ে রাখব। কীভাবে বিভিন্ন চরিত্রের পরিবর্তন না করে পরিস্থিতি তৈরি করা যায়। তারই ফলাফল পঞ্চম সিজনে দেখতে পাবেন আপনারা। যুদ্ধ শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এটাও বলতে পারি, এই সিজনেই উত্তেজনা সবথেকে বেশি। এই সিজনই সবথেকে মনে রাখার মতো।”
আরও পড়ুন, বাবা নেই, এখন মাকে আগলে রাখেন রোহনই, পালন করলেন মায়ের জন্মদিন