AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘গোবিন্দার পিঠে ছুরি মারা হয়েছে’, দাবি প্রযোজক পহেলাজ নিহালানির

গোবিন্দা ১৯৯০-এর দশকে বলিউডের ‘আলটিমেট এন্টারটেইনার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাঁর অনবদ্য কমিক টাইমিং, সাবলীল নাচের মুদ্রা এবং একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ পড়তে শুরু করে।  এক সময়ের যে অগাধ জনপ্রিয়তা বক্স অফিসে পেতেন, সেটাই ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে। এমনকী সলমন খান অভিনীত ‘পার্টনার’ (২০০৭)-এর মাধ্যমে কামব্যাকও তাঁর তারকাখ্যাতিকে পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারেনি।

'গোবিন্দার পিঠে ছুরি মারা হয়েছে', দাবি প্রযোজক পহেলাজ নিহালানির
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2025 | 3:50 PM
Share

গোবিন্দা ১৯৯০-এর দশকে বলিউডের ‘আলটিমেট এন্টারটেইনার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাঁর অনবদ্য কমিক টাইমিং, সাবলীল নাচের মুদ্রা এবং একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ পড়তে শুরু করে।  এক সময়ের যে অগাধ জনপ্রিয়তা বক্স অফিসে পেতেন, সেটাই ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে। এমনকী সলমন খান অভিনীত ‘পার্টনার’ (২০০৭)-এর মাধ্যমে কামব্যাকও তাঁর তারকাখ্যাতিকে পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে পারেনি।

এবার, বর্ষীয়ান প্রযোজক পহলাজ নিহালানি — যিনি গোবিন্দার সঙ্গে ‘ইলজাম’ (১৯৮৬), ‘শোলা অউর শবনম’ (১৯৯২), ও ‘আঁখে’ (১৯৯৩)-র মতো হিট ছবিতে কাজ করেছিলেন — এক চমকপ্রদ দাবি করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে নিহালানি অভিযোগ করেছেন, ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে গোবিন্দার কেরিয়ার ধ্বংস করেছেন। খোলাখুলি কথা বলতে গিয়ে নিহালানি বলেন, “পার্টনার’-এর পর সব কিছু ওর বিরুদ্ধে চলে গেল। এরপর ও আর কোনও ছবিই পেল না। অনেক বড় বড় ছবি বন্ধ হয়ে গেল, যার মধ্যে একটি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গেও ছিল। কেউ যদি পিছন থেকে ছুরি মারে, সেটার কোনও দাগ পর্যন্ত থাকে না। টেরও পাওয়া যায় না। ওকে বহুবার পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে।”

প্রযোজক জোর দিয়ে বলেন, তাঁর এই মন্তব্য কোনও অনুমান নয়, বরং নিজের চোখে দেখা সত্য। “এটা সত্যি কথা। ‘রঙ্গীলা রাজা’ (২০১৯)-র পরও অনেক বড় প্রযোজক আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, গোবিন্দা কি আমাকে কোনওদিন বিরক্ত করেছে? আমি বলেছি, ‘না’। ও সময়মতো আসত এবং সময়মতো চলে যেত। যে রটনা আছে, যে ও দেরি করে আসে — সেটা মিথ্যে। ও ভোর ৬টায় আমার জন্য শুটিং করেছে। কোনওদিন নির্ধারিত সময়ের বেশি দেরি করেনি।” বলিউডের সম্পর্কগুলোকে “লেনদেননির্ভর” বলে অভিহিত করে নিহালানি ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক নিয়ে মন্তব্য করেন। “বলিউডে কোনও বন্ধু নেই। সময় থাকলে বন্ধু, সময় পেরোলেই না। কেউ কারও আপন নয়। কারও সিনেমা ফ্লপ করলে মানুষ পার্টি করে”, বলেন নিহালনি।

যখন তাঁকে গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা আহুজা-র সেই বক্তব্য মনে করিয়ে দেওয়া হয় — যেখানে তিনি বলেছিলেন, “গোবিন্দার চারপাশের লোকজনই ওকে এগোতে দেয়নি,” — তখন নিহালানি একমত হন এবং বলেন, “সে ভুল কিছু বলেনি, একদম ঠিক কথা বলেছে। এই তথাকথিত পণ্ডিতরাই ওর কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে।”

তিনি কখনও গোবিন্দাকে অন্য পথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে নিহালানি বলেন, “কাউকে উপদেশ দেওয়াটা ঠিক নয়। কাউকে পরামর্শ দেওয়া মানে নিজেকে তার থেকে নীচে নামিয়ে নেওয়া। আমি কখনও গোবিন্দা সম্পর্কে কিছু ভুল বলব না — সে একজন ভালো অভিনেতা এবং ভালো মানুষ। তবে হ্যাঁ, ওর চিন্তাধারায় মাঝেমধ্যে ভুল ছিল।”