দেখতে দেখথে ৭ বছর পার। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিলেন প্রভাস অভিনীত ছবি বাহুবলি। গোটা বিশ্বে যা দক্ষিণী ছবির জন্য এক অন্য মাত্রা তৈরি করে দিয়েছিল। দর্শকদের ভাললাগা থেকে শুরু করে পরিচিতি পর্ব, সবটাই ব্যপকভাবে শুরু হয়েছিল প্রভাসের হাত ধরেই। তবে থেকেই দক্ষিণী ছবিও হিন্দি ভাষায় মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নির্মাতাদের পক্ষ থেকে। তবে এই কঠিন চরিত্রে অভিনয় করতে ভয়ানক পরিশ্রম করতে হয়েছে প্রভাসকে। এর আগে অ্যাকশনে প্রভাসকে দেখা গেলেও শরীরের গরণে সেই দাপট ছিল না।
সেই কারণেই অমরেন্দ্র বাহুবলি হয়ে উঠতে প্রভাসকে নিতে হয়েছিল কঠিন চ্যালেন। প্রতিদিন তিনি একশো কেজি করে ওজন তুলতেন। ডায়েট মেনে চলতেন। শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াও ছিল মানসিক দৃঢ়তাও। টানা ৫ বছর ধরে চলে এই ছবির কাজ। আর টানা ৫ বছরই নিজেকে ঠিক এমনভাবেই ধরে রাখতে পেড়েছিলেন তিনি। প্রভাস মানেই ফিট ফিগারের হিরো। তবে সেই মানুষটাই যে সকলের প্রিয় বাহুবলি হয়ে উঠবে অতীত মুছে এটা সত্যি একটা কঠিন সফর ছিল বলে একাধিকবার দাবি করেছিলেন পরিচালক রাজামৌলি।
নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি প্রভাসের এই পরিশ্রম করাটা দেখেছিলেন, শুরু তাই নয়, চরিত্রকে পারফেক্ট করতে নিজেকে ঠিক যতটা ভেঙে গড়া সম্ভব ঠিক ততটাই করেছিলেন প্রভাস। মুহূর্তে পাল্টে গিয়েছিল চেনা সমীকরণ। প্রভাস নিজেও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যে রাজামৌলি যে তাঁকে অমরেন্দ্র বাহুবলি হিসেবে ভেবেছিলেন সেটাই তাঁর বিশেষ পাওয়া। তাই ছবির প্রতি কোনও রকমের অযত্নের কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। উল্টে চেষ্টা করেছেন পরিচালকের চোখে দেখা অমরেন্দ্র হয়ে ওঠা, যাঁর বিশাল শক্তি, বুদ্ধি একাগ্রতা সবটাই দর্শক মুহূর্তে বিশ্বাস করতে, যাকে দর্শকেরাও বাহুবলির আখ্যাই দেবে। আর ঠিক তেমনটাই ঘটে।