বিপদে পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। হৃতিক পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। হৃতিক যদি না দাঁড়াতেন তবে বোধহয় মারাত্মক কিছু ঘটনার সম্মুখীন হতে হত তাঁকে। নিয়তি লিখত অন্য কোনও গল্প। নিজের বই ‘আনফিনিশড’-এ সেই ঘটনাই লিখলেন প্রিয়াঙ্কা।
বাবার অশোক চোপড়ার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক ছিল খুবই মিষ্টি। হঠাৎই ক্যানসারে আক্রান্ত হন তাঁর বাবা। অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। পারিবারিক চিকিৎসকরের পরামর্শে বাবাকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা করেন প্রিয়াঙ্কা। এ রকমই এক অস্থির সময়ে প্রিয়াঙ্কা যখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না, তাঁর পাশে দাঁড়ান হৃতিক।
প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন,”আমি হৃতিককে ফোন করাতেই ও নিজে থেকেই উদ্যোগী হয়ে ওর কানেকশন কাজে লাগিয়ে এয়ার ইন্ডিয়াতে তৎক্ষণাৎ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেন। হৃতিকের জন্যই লন্ডনে নিয়ে গিয়ে বাবার অস্ত্রপচার সম্ভব হয়। এবং সে বারের মতো প্রাণে বেঁচে যান বাবা।” শুধু হৃতিকই নন। তাঁর বাবা রাকেশ রোশনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর কথায়, “তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।
যদিও ক্যানসারকে জয় করতে পারেননি অশোক চোপড়া। ২০১৩তে মারা যান তিনি। প্রিয়াঙ্কা তাঁর বইয়ে আরও লেখেন, ২০১৩তে বাবার মৃত্যু, তার ঠিক পরেই ব্রেকআপে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। নিজেকে ঘরবন্দী করে ফেলেছিলেন। ওজন বাড়িয়েছিকেন প্রায় ৯ কেজি। তাঁর কথায়, “কেউ বুঝতেই পারতো না, আমার মধ্যে কী চলছে। একা লাগত। কান্না পেত।”এমনই এক সময়ে তাঁর জীবনে আসেন নিক জোনাস। পরের গল্পটা কারও অজানা নয়। বর্তমানে সুখের সংসার তাঁদের।