তাঁর নাচের দিওয়ানা সারা বিশ্ব জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অতীতে তাঁর গুণের প্রশংসা করেছেন মুক্ত কণ্ঠে। তবে এবার সেই নাচের জন্যই প্রিয় দিদির কাছে বকুনি খেতে হল খোদ ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ ওরফে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুর্গাপুজো কার্নিভ্যালে এবার হাজির ছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা। দিদির সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে অংশ নিচ্ছিলেন অনুষ্ঠানে। ‘ডান্ডিয়া নাচ’ চলছিল। হাতে ডান্ডিয়া তুলে জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষের সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশেই ছিলেন রচনাও। তাঁর হাতেও ছিল ডান্ডিয়া। নাচার চেষ্টা করছিলেন তিনিই।
কিন্তু ওই যে, মুখ্যমন্ত্রীর চোখকে কি আর ফাঁকি দেওয়া যায়? নাচের স্টেপ বারেবারেই মিস হয়ে যাচ্ছিল রচনার। নজর এড়ায়নি মমতারও। এক পর্যায়ে খানিক বিরক্ত হয়েই রচনাকে ডান্ডিয়া শেখাতে দেখা গেল তাঁকে। আর সাংসদও বাধ্য ছাত্রীর মতো নিছিলেন নৃত্যশিক্ষার পাঠ। শিখতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বকুনি খেয়ে খুব তাড়াতাড়িই তিনি ‘ব্যাক ইন দ্য ট্র্যাক’।
রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকেই একের পর এক কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে রচনাকে। কখনও ‘কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল জল’ বিতর্ক আবার কখনও বা ‘ধোঁয়া ধোঁয়া’য় বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। কিছু দিন আগেও বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে ফেরার সময়ে হাতে কচু থাকায় ট্রোল্ড হতে হয়েছিল তাঁকে। এ সবের মাঝেই মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে গিয়ে রচনা অনশনকারীদের উদ্দেশে রেখেছিলেন বক্তব্য। বলেছিলেন, “পুজোর চারটে দিন কে কীভাবে কাটাবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। যাঁরা অনশন করছেন তাঁদেরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাব। তাঁদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। কারণ,পুজোর চারটে দিনের জন্যই তো সারা বছর সবাই অপেক্ষা করে থাকেন। ওনারা পুজোয় কোনও আনন্দ করতে পারছেন না। এত দিন ধরে অনশন করছেন খুবই খারাপ লাগছে। চাইব তাড়াতাড়ি যেন তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়। পরিবারের কথা তাঁদের ভাবতে হবে। চাইব তাঁরা যেন পুজোর আমেজে ফেরেন। মা-বাবার কথা, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের পুজোর আমেজে ফেরা উচিত। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আনন্দ করতে পারছেন না তাঁদের জন্য।” সে নিয়েও আলোচনা কম হয়নি।